ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান বিচারপতিকে এক মাসের ছুটি দেয়ায় দেশবাসী হতবাক ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৮:০০, ৯ অক্টোবর ২০১৭

প্রধান বিচারপতিকে এক মাসের ছুটি দেয়ায় দেশবাসী হতবাক ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতিকে নজিরবিহীনভাবে এক মাসের ছুটি দেয়ার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, ছুটির দরখাস্তে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছে সরকারের এজেন্সির লোকেরা। তার দরখাস্তের ৯ শব্দের বানানে ভুল। প্রধান বিচারপতিকে প্রথমে গৃহবন্দী করে রাখার পরে এখন নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে প্রচ- চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে দেশ ত্যাগের জন্য। এ সরকার কতখানি বেপরোয়া, নীতিজ্ঞানহীন ও স্বৈরাচারী হতে পারে তার পরিমাপক যন্ত্র এখনও আবিষ্কার হয়নি। এ সরকার একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা প্রতিনিয়ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বারবার চেষ্টা করেও এখন পর্যন্ত দেখা করতে পারেননি। প্রধান বিচারপতি সুস্থ থাকলেও প্রচন্ড চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে অসুস্থতার কথা বলা হচ্ছে। চিকিৎসার নামে ডাক্তার পাঠানো হচ্ছে। যা সরকারের নির্লজ্জ নাটক। জনগণ সরকারের এসব সাজানো নাটক তিল পরিমাণও বিশ্বাস করে না। বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেই সরকারের উদ্দেশ্য সাধিত হয় এবং একদলীয় শাসনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে বিলম্ব হবে না। বিচার বিভাগের ওপর এই ঘৃণ্য আক্রমণ দেশের বহুমাত্রিকতা স্তব্ধ হওয়ার ইঙ্গিতবহ। বহু দল, মত, পথের সম্মিলন এখন ভয়ের অন্ধকার রাজ্যের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হলো। বিরোধী দল এবং বিরোধী মতের মানুষদের সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নস্যাত হয়ে গেল। সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক উপায়ে লড়াই করতে চাই- দুদু ॥ আগামী বছর বাংলাদেশে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সেটা গণতান্ত্রিক সরকার হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সেই সরকারের প্রধান হবেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সহায়ক সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে আমরা সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক উপায়ে লড়াই করতে চাই। রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিরাপত্তার জন্য প্রধান বিচারপতি দেশ ছাড়ছেন মন্তব্য করে দুদু বলেন, দেশের প্রতিটি পরিবার প্রধান বিচারপতির মতো ভীতসন্ত্রস্ত। নিরাপত্তার প্রশ্নে যে দেশের প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে হয়, সে দেশে আর থাকে কী? আমরা আদালতে যাই বিচারের আশায়, সুপ্রীমকোর্টে যাই সর্বশেষ বিচারের আশায়, সেই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আজ কোন কথা বলছেন না। কেন তিনি কথা বলছেন না জাতি তা জানতে চায়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সরকারের ব্যর্থতার জ্বলন্ত প্রমাণ। সরকার যে এ বিষয়ে সাফল্যের কথা বলছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা। এ সরকারের সঙ্গে যে চীন, ভারত ও রাশিয়া নেয় সেটা প্রমাণ করেছে রোহিঙ্গা ইস্যু।
×