ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপূজায় রাত আটটার মধ্যে বিসর্জন শেষ করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দুর্গাপূজায় রাত আটটার মধ্যে  বিসর্জন শেষ করতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ এবারের দুর্গাপূজায় রাত আটটার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়কে কোন প্রকার মেলা বসানো যাবে না। আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে। প্রতিটি মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব (স্থানীয়) ভলেন্টিয়ার দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এতে মহিলা ভলেন্টিয়ার বাড়াতে হবে। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বলেন, এবার সারা দেশে ৩০ হাজার ৭৭টি মন্ডপে পূজা হবে, যা গতবারের চেয়ে ৭৭৭টি বেশি। গত বছর ২৯ হাজার ৩০০টি মন্ডপে পূজা হয়েছিল। এ বছর রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে বলা হয়েছে। রাস্তায় কোন মেলা করা যাবে না। আতশবাজির কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বিভ্রান্তিতে পড়ে বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ কারণে কোন ধরনের আতশবাজি ব্যবহার না করতে নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। এবার বিজয়া দশমীর দিন ও আশুরা মিলে যাওয়ায় হিন্দু নেতা ও শিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের একসঙ্গে বসে বিসর্জনযাত্রা ও তাজিয়া মিছিলের সময় ও পথ ঠিক করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে। দেশজুড়ে পূজা মন্ডপগুলোতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ১ লাখ ৬৮ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্যান্য বারের ন্যায় এবারের পূজায়ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যা সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি মন্ডপে অস্ত্রসহ আনসার ও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। শহর এলাকায় র‌্যাব টহল দেবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ম-প কমিটির নিজস্ব লোক কাজ করবে। এরা স্থানীয় লোকজন সম্পর্কে ভাল জানে। এছাড়া শহর এলাকায় সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জঙ্গী হামলার আশঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ পূজা উদ্্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল বলেন, মন্ত্রীকে বলেছি, যাতে এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরাও আশ্বস্ত হয়েছি।
×