ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পদের হিসাব মামলায় রানা প্লাজা মালিকের ৩ বছর জেল

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৩০ আগস্ট ২০১৭

সম্পদের হিসাব মামলায় রানা প্লাজা মালিকের ৩ বছর জেল

কোর্ট রিপোর্টার ॥ সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ৩ বছরের কারাদ-ের রায় দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। আসামির ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অর্থদন্ড অনাদায়ের আরও ৩ মাসের কারাদন্ডেরও আদেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণা উপলক্ষে রানাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রানা প্লাজার ভবন ধ্বসের পর সোহেল রানার বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে প্রথম কোন মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। অপর ৪টি মামলার মধ্যে রয়েছে, ভবন ধ্বসের ঘটনার হত্যা মামলা, ভবন নির্মাণে দুর্নীতির মামলা, অস্ত্র মামলা ও ভবন নির্মাণে দুর্নীতির মামলা। ওই মামলাগুলো বর্তমানে (সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে বিচারাধীন। এ মামলার দুদকের প্রসিকিউটর এমএ সালাউদ্দিন ইস্কান্দর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় অভিযোগের এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজার রায় পেয়েছেন। তবে রানার আইনজীবী ফারুক আহমেদ রায়ে অসেন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুদক যখন সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ প্রদান করে তখন আসামি অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন। তাই তিনি হিসাব দিতে পারেননি। তাই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম আদালতে রানার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। গত ২৩ মার্চ সোহেল রানার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। পরে আদালত মামলার ৯ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। গত ২২ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৩ সালের ২২ মে সোহেল রানা, তার স্ত্রী এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে-বনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ দায় দেনার যাবতীয় হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিস জারি দেয় দুদক। ওই সময় রানা কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তার নামের নোটিস জারি না হওয়ায় পরে দুদক ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে নোটিস জারি করে। ওই বছর ২ এপ্রিল জেল সুপার নোটিসটি সোহেল রানার কাছে পৌঁছায়। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ না করে তা দুদকের কাছে ফেরত পাঠান। ওই ঘটনায় ওই বছর ২০ মে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম রমনা থানায় সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে বিচারাধীন। এ মামলার দুদকের প্রসিকিউটর এমএ সালাউদ্দিন ইস্কান্দর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় অভিযোগের এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজার রায় পেয়েছেন। তবে রানার আইনজীবী ফারুক আহমেদ রায়ে অসেন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুদক যখন সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ প্রদান করে তখন আসামি অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন। তাই তিনি হিসাব দিতে পারেননি। তাই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম আদালতে রানার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। গত ২৩ মার্চ সোহেল রানার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। পরে আদালত মামলার ৯ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। গত ২২ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৩ সালের ২২ মে সোহেল রানা, তার স্ত্রী এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে-বনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ দায় দেনার যাবতীয় হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিস জারি দেয় দুদক। ওই সময় রানা কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তার নামের নোটিস জারি না হওয়ায় পরে দুদক ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে নোটিস জারি করে। ওই বছর ২ এপ্রিল জেল সুপার নোটিসটি সোহেল রানার কাছে পৌঁছায়। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ না করে তা দুদকের কাছে ফেরত পাঠান। ওই ঘটনায় ওই বছর ২০ মে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম রমনা থানায় সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
×