ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুবাইয়ে পালিয়েছেন ইংলাক, অনুপস্থিতিতেই রায় ২৭ সেপ্টম্বর

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৭ আগস্ট ২০১৭

দুবাইয়ে পালিয়েছেন ইংলাক, অনুপস্থিতিতেই রায় ২৭ সেপ্টম্বর

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দুবাইয়ে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার দলের এক সিনিয়র নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ কথা বলেন। আদালতের রায় এড়াতে তিনি দেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যান। ইংলাকের (৫০) বিরুদ্ধে দায়ের করা দায়িত্বে অবহেলা সংক্রান্ত মামলার রায়ের জন্য তার শুক্রবার সকালে উচ্চ আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। এ মামলায় তার ১০ বছরের কারাদ- হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হয়ে সিনাওয়াত্রা পরিবারের ১৬ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসের অবসান ঘটিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান। পত্রপত্রিকার খবরে বলা হয়, তিনি স্থল সীমান্ত দিয়ে কম্বোডিয়া হয়ে সিঙ্গাপুর এবং সেখান থেকে দুবাই যান। সম্ভবত আদালতের রায়ের দিনদুই আগেই তিনি দেশ ছাড়েন। এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। উচ্চ আদালত আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তার অনুপস্থিতিতেই এ মামলার রায় ঘোষণা করবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ইংলাক সরকারের পতন ঘটে। চালে ভর্তুকি কর্মসূচী বিষয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় ইংলাক অভিযুক্ত হলে তার ১০ বছরের সাজা হতে পারে এবং তিনি আজীবনের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হতে পারেন। দীর্ঘ-বিলম্বিত এই রায়কে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক-বিভক্ত দেশটিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। চালে ভর্তুকির কর্মসূচীটি ছিল ইংলাক প্রশাসনের প্রধান একটি নীতি। ওই কর্মসূচীতে কৃষকদের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে ধান কেনা হয়। কর্মসূচীটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। এই কর্মসূচীর কারণে দেশটিতে চালের বিশাল মজুত সৃষ্টি হয় এবং লোকসান হয় ৮শ’ কোটি ডলার। ইংলাক ওই কর্মসূচীতে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওই কর্মসূচীর দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে তিনি ছিলেন না। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ইংলাক বলেন, ‘আমি সততার সঙ্গে আইন অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করেছি।’ তিনি বলেন, উৎপাদনকারী কৃষকদের চালের মূল্য হ্রাসের নেতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ থেকে মুক্তি দিতে তিনি এ ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেন। ইংলাকের দাবি, তার এ পদক্ষেপে ১৮ লাখ কৃষক উপকৃত হয়। ২০১৪ সালের ২২ মে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার মাত্র কয়েক দিন আগে আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ২০১১ সালে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। ইংলাক স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন।
×