ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ী অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ১১ শতাংশ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৯ আগস্ট ২০১৭

বিদায়ী অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ১১ শতাংশ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রেমিটেন্স ও রফতানি আয় কমলেও বিদায়ী অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১১ শতাংশ। গত অর্থবছরে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার মোট ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৮১২ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে এ ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৩৩৩ কোটি ডলার। মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এলসি সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছরে সর্বমোট ৪ হাজার ৪২৭ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। আগের অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭ কোটি ডলার। এলসি নিষ্পত্তিতে ব্যয় বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এলসি নিষ্পত্তিতে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় ব্যয় বাড়ে মাত্র ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। গত অর্থবছরে চাল আমদানিতে এলসি খোলার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ১৪১ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চাল আমদানিতে মাত্র ১১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হলেও গত বছর খোলা হয়েছে ২৭ কোটি ডলারের। এছাড়া চিনি আমদানি ব্যয় ৬৩ ও গম আমদানি ব্যয় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি খোলার ব্যয় সাড়ে ১০ শতাংশ এবং নিষ্পত্তির ব্যয় ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ৫৩০ কোটি ডলারের এলসি খুলে ৪৮৫ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়। এছাড়া পেট্রোলিয়াম আমদানিতে ১৭ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় বাড়লেও আয় কমেছে। গত অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে রফতানিতে আয় বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়ায় চলতি হিসেবে ঘাটতি হয়েছে।
×