ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৭ আগস্ট ২০১৭

ষোড়শ সংশোধনী  নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত মত বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদের। তিনি বলেন, বিষয়টি আওয়ামী লীগ ঠা-ামাথায় পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে তড়িঘড়ি কোন বক্তব্য দিতে চায় না। তারা যথাসময়ে এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলবিষয়ক এক চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের রেল কোচ এবং রেল ট্র্যাক সংগ্রহে সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রবিবার এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় প্রায় ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল কোচ ও রেল ট্র্যাক ছাড়াও রোলিং স্টক, ট্রেন সিমুলেটর, ডিপোর যন্ত্রপাতি, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির উপস্থিতিতে রবিবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম এবং মেট্রোরেল বাস্তবায়ন সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএলের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যেখানে স্বাধীন সেখানে ন্যায়বিচার নিয়ে সন্দেহ কোথায়? খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার হবে কি হবে না এ নিয়ে অহেতুক সন্দেহ কেন? কারণটা কি?’ প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপীল বিভাগ। এরপর গত ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে মেট্রোরেলবিষয়ক চুক্তির সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রোরেলের কোচগুলো হবে আধুনিক ও উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন মরিচাহীন ইস্পাত দ্বারা নির্মিত এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কোচের আসনগুলো লম্বালম্বিভাবে সাজানো থাকবে এবং প্রতি ট্রেনে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। এ সময় মন্ত্রী এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান সরকার এবং জনগণকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের কাজে গতি এসেছে এবং এর ফান্ডিং নিয়েও কোন সমস্যা নেই। এছাড়া বিশেষ উদ্যোগে ২০১৯ সালে উত্তরা তৃতীয়পর্ব হতে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হবে বলেও জানানো হয়। চুক্তিপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক ও ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার এবং কাওয়াসাকি-মিটসুবিশি কনসোটিয়ামের পক্ষে মাকোতা ওগাওয়ারা সই করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজমুল হক প্রধান এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকাতোশি নিশিকাতা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহম্মেদসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং প্রকল্পের ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×