ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে হদিস মিলছে না হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই ছাত্রের

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩০ জুলাই ২০১৭

পঞ্চগড়ে হদিস মিলছে না হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই ছাত্রের

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ জেলা শহরের দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম নামে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই ছাত্র লিজানুর রহমান (১৫) ও রিফাত হোসেনকে (১২) শুক্রবার বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে খোঁজ না পেয়ে শনিবার দুপুরে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এজাজ আহম্মদ। লিজানুর রহমান তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের জায়গীরজোত এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে এবং রিফাত হোসেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার যতনপুকুরী এলাকার শফিউল ইসলামের ছেলে। থানার ডায়েরি ও ছাত্রদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শহরের দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র লিজানুর রহমান ও রিফাত হোসেন ২৮ জুলাই বিকেলে নিজেদের প্রয়োজনের কথা বলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সেখান থেকে দুজনে মিলে রিফাতের বাড়ি যতনপুকুরীতে যায়। বাড়ি থেকে রেললাইন দেখার কথা বলে বের হয় রিফাত ও লিজানুর। কিন্তু তারপর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা মাদ্রাসায়ও ফিরে আসেনি, বাড়িতেও যায়নি। ছেলেদের হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে রিফাত ও লিজানুরের পরিবারসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। রিফাতের বাবা শফিউল ইসলাম জানান, এর আগে রিফাত ঢাকার উত্তরার এক হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত। পরে সেখানে ভাল না লাগার কথা বলে পালিয়ে এসেছিল। এরপর আমি পঞ্চগড় দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম মাদ্রাসায় তাকে ভর্তি করে দেই। ২৮ জুলাই বিকেলে রিফাত তার সঙ্গে লিজানুরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। পরে রেললাইন দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় সে তার ভাবির মোবাইল ফোনটিও নিয়ে গেছে। ওই নম্বরে আমরা বারবার ফোন দিচ্ছি কিন্তু অন্য লোকে ধরছে। এখনও তাদের কোন খোঁজ পাচ্ছি না। বড় দুশ্চিন্তায় আছি। লিজানুরের বাবা আব্দুস সবুর জানান, লিজানুর এর আগে বাড়ির পাশে সিপাহীপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত। সাত মাস আগে তাকে পঞ্চগড়ের এই হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করি। শুক্রবার বিকেল থেকে তার খোঁজ না পাওয়া বিষয়টি মাদ্রাসার হুজুর আমাকে ফোনে জানান। তারপর থেকে আমরা সবাই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছি কিন্তু পাচ্ছি না। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হাসান সরকার জানান, ওই মাদ্রাসার পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা দেশের বিভিন্ন থানায় তাদের বিষয়ে মেসেজ পাঠিয়েছি। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
×