ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২১ জুলাই ২০১৭

ঝলক

মূর্তি মানব! মূর্তি আবার জীবন্ত হয় নাকি? এই প্রশ্নের শতভাগ উত্তর আসবে ‘না’। তবে এবার ভারতে একটি জীবন্ত মূর্তির খোঁজ মিলেছে। খবর হচ্ছে ৫৪ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিক আবদুল আজিজের পেশা মূর্তির মতো একটি সামুদ্রিক রিসোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা। আর দর্শনার্থীদের চমকে দেয়া। একটানা ৩২ বছর ধরে এই অদ্ভুত চাকরি করছেন আবদুল আজিজ। দৈনিক টানা ছয় ঘণ্টা চেন্নাইয়ের ভিজিপি গোল্ডেন বীজ রিসোর্টের প্রধান ফটকের সামনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ কাজে মাসে মাইনে পান ১০ হাজার ভারতীয় রুপী। দায়িত্ব পালনকালে কেউ তাকে শত চেষ্টা করেও হাসাতে বা কথা বলাতে পারে না। আবার তার নাকের ওপর মাছি বসলেও তা হাত দিয়ে সরান না এই মূর্তি মানব। একপর্যায়ে ওই মাছি আপনা আপনি উড়ে যায়। দীর্ঘ চাকরি জীবনে টানা ছয় ঘণ্টার আগে তিনি কখনও নড়েননি। অথবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্যও যাননি। অনেক অল্প বয়সী দর্শনার্থী তাকে চটানোর চেষ্টা করেছে। কেউ কথা বলানোর চেষ্টা করেছে। তবে প্রতিবারই তাদের ব্যর্থ হতে হয়েছে। কোন কোন দর্শনার্থী তাকে কিছু খাওয়ানো অথবা পান করানোর চেষ্টা করে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। কেউ আবার তার শরীরে চিমটি কেটেছে। তবে বরাবরই নিরুত্তর থেকেছেন আবদুল আজিজ। আর এসব কারণে তিনি ভারতের জীবন্ত মূর্তি মানবের খেতাব পেয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, চেন্নাইয়ের ভিজিপি গোল্ডেন বীজ রিসোর্টের মালিক বাল্য বয়সে একবার লন্ডন ভ্রমণে যান। লন্ডনের বার্মিংহ্যাম প্রাসাদের সামনে রয়েল গার্ডদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। তাই তার ব্যবসায় এই ধারণা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। এ জন্য কয়েক জনকে পাক্কা তিন মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেন। পরীক্ষায় অন্যান্য অংশগ্রহণকারী ব্যর্থ হয়। তবে ধৈর্যের পরীক্ষায় টিকে যান আবদুল আজিজ। যোগ দেন এই পেশায়। সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতকারে এই পেশায় তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, অল্প বয়সে এই পেশাকে আমি উপভোগ করেছি। তবে এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়। এখন আমার শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার জানা মতে, বার্মিংহ্যাম প্রাসাদের সামনের দায়িত্বরত রয়েল গার্ডদের দুই ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়। আর আমি থাকি ছয় ঘণ্টা। এই দীর্ঘ ডিউটি আমাকে কষ্ট দেয়। আর বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা আমার সঙ্গে নানা কায়দায় সেলফি তুলতে আসে। আমার শরীরে হাত রাখে। এভাবে অনেক সময় আমার ধৈর্য হারানোর উপক্রম হয়। তবে আমি আমার এই পেশাকে সারাজীবন ভালবেসে যাব। -ফ্রাইডে ম্যাগাজিন অবলম্বনে। সবচেয়ে বড় মানব-ফুল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-ফুল তৈরি করে রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর দ্য এশিয়ান আর্ট মিউজিয়াম। মানব-ফুলটি তৈরি করতে ২ হাজার ৪০৫ জন মানুষ নেয়। দ্য এশিয়ান আর্ট মিউজিয়ামের এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার ২ হাজার ৪০৫ জন লোক সবুজ ও ফ্যাকাশে লাল বর্ণের পোশাক পরে দাঁড়িয়ে পদ্মফুল আকৃতির মানব-ফুলে পরিণত হন। পরে মিউজিয়ামটি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় মানব-ফুল তৈরির সেই ভিডিও পোস্ট করে। উৎসাহী ভিজিটরা বেশ আনন্দ নিয়েই সেটি উপভোগ করেন। ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে এই মানব-ফুলের ছবি তোলা হয়। এর আগে সবচেয়ে বড় মানব-ফুল তৈরির রেকর্ড ছিল নিউইয়র্কের রচেস্টার সেন্টারের। সেখানে ২ হাজার ২৯৭ জন অংশ নিয়ে লিলাক ফুল আকৃতির মানব-ফুল তৈরি করেছিল। -এবিসি নিউজ অবলম্বনে।
×