ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত পাল্টাচ্ছে বিশ্ব

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১১ জুলাই ২০১৭

দ্রুত পাল্টাচ্ছে বিশ্ব

প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির ইতিহাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন সম্ভাবনার। যেমন এক শ’ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছোঁয়ার ৫ বছর পরেই ২০০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় সাইট ফেসবুক। আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত উদ্যোক্তা এলন মাস্কের গাড়ি, বিদ্যুত ও সোলার প্যানেল নির্মাতা কোম্পানি টেসলা। লিথিয়াম আয়ন প্রযুক্তির এই ব্যাটারিটি ১০০ দিনের মধ্যে তৈরি করা হবে। তা ছাড়া মহাকাশে পৃথিবী প্রদক্ষিণ শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ বা ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা।’ এ্যামাজান ও গুগলের পর এবার ভার্চুয়াল সহকারীকে ডিভাইসের মাধ্যমে বাজারে নিয়ে এসেছে আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড। ‘টিমল জিনি এক্স১’ নামে আলিবাবার এই ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্টের পরীক্ষামূলক বিক্রি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মোবাইল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংকের দিন অতীত হতে চলেছে। এই শতকে চলে এল বিশ্বের প্রথম ব্যাটারিবিহীন মোবাইল। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তৈরি করেছেন এই মোবাইলটির। সুমন্ত গুপ্ত নতুন লক্ষ্যে মার্ক জাকারবার্গ এক শ’ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছোঁয়ার ৫ বছর পরেই ২০০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় সাইট ফেসবুক। ২০০৪ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে মার্ক জাকারবার্গ এবং তার সহযোগী এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিজ ও ক্রিস হিউস মিলে শুরু করেছিলেন ফেসবুক। যাত্রা শুরুর ৮ বছরের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুকে ১০০ কোটি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। ২০০ কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ সার্ভিসের মধ্যে শীর্ষে আছে ফেসবুক। একই সময়ে ভিডিও দেখার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউবের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০ কোটি, বিনামূল্যে বার্তা আদান-প্রদানের এ্যাপ উইচ্যাটের ব্যবহারকারী ৮৮ কোটি ৯০ লাখ, মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ৩২ কোটি ৮০ লাখ এবং স্ন্যাপচ্যাটে॥ুক ম্যাসেঞ্জারের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ১২০ কোটি। ৭০ কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে খুব শীঘ্রই এ ক্লাবে যুক্ত হতে যাচ্ছে ছবি শেয়ারের জনপ্রিয় এ্যাপ ইন্সটাগ্রাম। আর দুই বিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা সাফল্য উপভোগ করতে না করতেই মার্ক জাকারবার্গ ছকে ফেলেছেন নতুন প্ল্যান। হাতের মুঠোয় পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ জনতা, এবার ছুঁতে হবে বাকি দুই-তৃতীয়াংশকে। মানে এবার লক্ষ্য চার বিলিয়ন মানুষকে ফেসবুকের আওতায় আনা। স্বপ্নটা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। আইডিয়ার স্তর পেরিয়ে বাস্তবে উড়ছে তার স্বপ্ন-উড়ান। নাম এ্যাকিলা। ধরুন, আপনার কাছে কোন ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, এমনকি সুদূর ভবিষ্যতে হওয়াও সম্ভব নয়। কেননা আপনি থাকেন প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে এখনও ইলেক্ট্রিসিটি পৌঁছায়নি। কিংবা কেউ হয়ত গভীর অরণ্যের বাসিন্দা। কেউবা আছেন সমুদ্র-পরিবেষ্টিত দ্বীপে। তারা সবাই ফেসবুক সংযোগ করতে পারবেন এই এ্যাকিলার সাহায্যে! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যির খুব কাছে চলে এসেছেন জাকারবার্গ। এ্যাকিলার জ্বালানি সৌরশক্তি। তাই অতি অল্প খরচেই সম্ভবপর হবে এই অসাধ্যসাধন। সারা পৃথিবীর মানুষকে একই সুতায় গাঁথার উদ্দেশ্য সফল হবে, কেউই আর বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবেন না, এমনটাই আশা করেন তিনি। অতি সম্প্রতি সাহারা মরুভূমির বিস্তৃতিতে পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হলো এই এ্যাকিলাকে। যাত্রাপথ জুড়ে অসংখ্য অজানা তথ্য সংগ্রহ করে এনেছে সে, যা আসলে ভবিষ্যতদ্রষ্টা মার্কের ঠোঁটে হাসি ফুটিয়েছে। ইন্টারনেট ছাড়াই যদি জনসংযোগ হয়, তাহলে অনেকের স্বপ্নই তো একসঙ্গে সফল হবে। তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত উদ্যোক্তা এলন মাস্কের গাড়ি, বিদ্যুত ও সোলার প্যানেল নির্মাতা কোম্পানি টেসলা। লিথিয়াম আয়ন প্রযুক্তির এই ব্যাটারিটি ১০০ দিনের মধ্যে তৈরি করা হবে। মূলত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি সঙ্কট মেটাতে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা হবে। এই ব্যাটারির ক্ষমতা হবে ১০০ মেগাওয়াট যা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৩০ হাজার আবাসিক ভবনে প্রয়োজনীয় বিদ্যুত সরবরাহ করতে পারবে। এ্যাডিলেডের ২৩০ কিলোমিটার উত্তরের শহর জেমস টাউনে এই ব্যাটারি তৈরি করা হবে। সেখানকার একটি বায়ুকলের সঙ্গে এটি যুক্ত করা হবে। এ্যাডিলেডের ২৩০ কিলোমিটার উত্তরের শহর জেমস টাউনে এই ব্যাটারি তৈরি করা হবে। সেখানকার একটি বায়ুকলের সঙ্গে এটি যুক্ত করা হবে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেসলা ১০০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে বিনা মূল্যে ব্যাটারিটি সরবরাহ করার অঙ্গীকার করেছে। তবে এ প্রকল্পের খরচ সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। এলন মাস্ক টেসলার মাধ্যমে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের হার কমিয়ে আনার স্বপ্ন দেখেন। এ জন্য বিদ্যুতচালিত গাড়ি তৈরির পাশাপাশি ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংরক্ষণের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে জোর দিচ্ছেন তিনি। আলিবাবার ৭৩ ডলারের ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যামাজান ও গুগলের পর এবার ভার্চুয়াল সহকারীকে ডিভাইসের মাধ্যমে বাজারে নিয়ে এসেছে আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড। ‘টিমল জিনি এক্স১’ নামে আলিবাবার এই ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্টের পরীক্ষামূলক বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম ১ হাজার জন গ্রাহক মাত্র ৭৩ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার টাকা) মূল্যে এই ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্টটির মালিক হতে পারবেন। কণ্ঠনিয়ন্ত্রিত এই স্পিকারটি দিয়ে মিউজিক বাজানো, তৃতীয় পক্ষের এ্যাপ চালানো এবং চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন স্টোর থেকে পণ্য কেনা যাবেÑ খবর বিবিসির। শুরুতে শুধু ম্যান্ডারিন ভাষা বুঝবে স্পিকারটি। আর আপাতত শুধু স্থানীয় বাজারেই পাওয়া যাবে। এর আগে দেশটিতে একই ধরনের স্পিকার উন্মোচন করেছে বাইদু এবং জেডি ডটকম। টিমল জিনি নিয়ে চীনা বাজারে এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামছে আলিবাবা। প্রথম এক হাজার জন কিনতে পারবেন এ ভার্চুয়ালএ্যাসিস্ট্যান্ট। টিমল জিনি নামের স্পিকারটি দিয়ে মিউজিক বাজানো, তৃতীয় পক্ষের এ্যাপ চালানো এবং আলিবাবা অনলাইন স্টোর থেকে পণ্য কেনা যাবে। দেশটির বাজারে ঠিক একই ধরনের স্পিকার উন্মোচন করেছে বাইদু এবং জেডি ডটকম। তাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামছে আলিবাবা। এ ছাড়া একই ধরনের বাজারে প্রতিযোগিতা করছে মার্কিন টেক জায়ান্ট এ্যাপল। সম্প্রতি তারা এআই স্পিকার উন্মোচন করেছে। স্যামসাংও এআই স্পিকার আনতে কাজ করছে। দামের দিক থেকে ‘টিমল জিনি এক্স১’ টেক্কা দেবে এ্যামাজন-গুগলের ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্টগুলোকে। কারণ যেখানে এ্যাপলের হোমপ্যাডের মূল্য ৩৪৯ ডলার, গুগল হোমের মূল্য ১২৯ ডলার এবং এ্যামাজনের ইকোর মূল্য ৩২০ ডলার সেখানে টিমল জিনি এক্স১-এর মূল্য মাত্র ৭৩ ডলার। ব্যাটারিবিহীন মোবাইল ফোন প্রযুক্তির ইতিহাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন একটি ইতিহাস। মোবাইল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংকের দিন অতীত হতে চলেছে। এই শতকে চলে এলো বিশ্বের প্রথম ব্যাটারিবিহীন মোবাইল। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তৈরি করেছেন এই মোবাইলটি। এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তারা। তাতে দাবি করা হয়েছে, আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের সাহায্যেই এই মোবাইল কাজ করবে। গত ১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি অন ইন্টারেক্টিভ, মোবাইল, ওয়্যারেবল এ্যান্ড ইউবিকুইটাস টেকনোলজিস নামক জার্নালে। প্রোটোটাইপটি ব্যবহার করতে খরচ হবে মাত্র সাড়ে ৩ মাইক্রোওয়াট পাওয়ার। যার জন্য ব্যাটারির প্রয়োজন নেই। এ্যাম্বিয়েন্ট রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মাধ্যমে সেই পাওয়ার যোগাড় করে নেবে মোবাইলটি। গোটা গবেষণাটি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনসহ গুগল ফ্যাকাল্টি রিসার্চ এ্যাওয়ার্ডসের অর্থ সাহায্যে করা হয়েছে। প্রচলিত ব্যাটারি নয়, এই মোবাইল চলবে আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মতো অপ্রচলিত উপাদানের সাহায্যে। রেডিও সিগন্যাল থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মোবাইলের বেস স্টেশন থেকে ৩১ ফুট দূর পর্যন্ত কথাবার্তা বলা যাবে। তবে যদি আলোকতরঙ্গের সাহায্যে মোবাইলটি চলে তবে তা বেস স্টেশনের ৫০ ফুট দূরের পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কথা বলতে হলে মাইক্রোফোনের শব্দতরঙ্গগুলো ব্যবহার করবে মোবাইল। এর পর শব্দতরঙ্গগুলোকে শ্রবণযোগ্য সাঙ্কেতিক সিগন্যালে বদলে ফেলে তার প্রতিফলন ঘটাবে তা। এর উল্টোটা হবে কল রিসিভের সময়। ফোনের স্পিকারে আসা সাঙ্কেতিক রেডিও সিগন্যালগুলোকে শব্দতরঙ্গে বদলে নেবে মোবাইলটি। তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট
×