ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৫৭ ধারা বাতিল দাবি ঢাবি সাংবাদিক সমিতির

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৯ জুলাই ২০১৭

৫৭ ধারা বাতিল দাবি ঢাবি সাংবাদিক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। পাশাপাশি এ আইনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইনসহ গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানায় সংগঠনটি। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় মানুষের অধিকার সুরক্ষা; নিপীড়িত, নির্যাতিত, নিগৃহীত ও নিষ্পেষিত মানুষে পাশে দাঁড়ানো এবং শোষকের হাত থেকে শোষিতকে রক্ষার জন্য। অথচ বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই তার উল্টোটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কখনও আইন প্রণয়নে ‘অস্বচ্ছতা’-কে কাজে লাগিয়ে এবং কখনও আইনের ‘অপব্যবহার’-এর মাধ্যমে একটি মহল সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এ হয়রানি থেকে বাদ যাচ্ছে না দেশের কৃতী গণমাধ্যম কর্মীরাও। বিবৃতিতে তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনটি সংশোধন করে ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর থেকে সমোলাচনা শুরু হয়। কেননা, এ আইনে পুলিশকে সরাসরি মামলা করার ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। মানবাধিকারকর্মী ও সংবাদকর্মী ছাড়াও অনলাইন ব্যবহারকারীদের শঙ্কা ছিলÑ এ আইনের অপব্যবহার হতে পারে। সেই শঙ্কাই সত্য হয়েছে। যার শিকার হয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান সাংবাদিক প্রবীর সিকদারসহ আরও অনেকে। সর্বশেষ যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজমুল হোসাইনের বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এ ধরনের ‘হয়রানিমূলক’ মামলাকে হুমকি মনে করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সম্প্রতি আইনটি নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে সর্বত্র ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চলতি বছরের ২ মে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঘোষণা দিয়েছেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা থাকছে না।’ কিন্তু এখনও এ ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখছি না। গণতান্ত্রিক এ দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে এ আইনটি অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
×