ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

৯ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান

কুমিল্লায় উপকূল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৪ জুলাই ২০১৭

কুমিল্লায় উপকূল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৩ জুলাই ॥ কুমিল্লায় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কুমিল্লা রেলস্টেশনে সোমবার এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর জেলার লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আনার পর বিকেল পাঁচটার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ইঞ্জিন এবং একটি বগি উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রেনের যাত্রী ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন কুমিল্লা রেলস্টেশনের ১নং প্লাটফর্মে প্রবেশের সময় ওই ট্রেনের ইঞ্জিন ও একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ সময় যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ওই ট্রেনে ১৮টি বগিতে ৫ শতাধিক যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার ফলে এসব যাত্রীরা স্টেশনে আটকা পড়েন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যাত্রী সালেহ আহাম্মদ, তফাজ্জল হোসেন, আমেনা বেগমসহ অন্য যাত্রীরা সাংবাদিকদের জানান, ট্রেনটি এ স্টেশনে প্রবেশের সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে থেমে যায়। এ সময় অনেকেই ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ দুর্ঘটনাটি স্টেশনে না ঘটে অন্য কোন স্থানে ঘটলে হয়তো অনেক হতাহতের সম্ভাবনা ছিল। কুমিল্লা রেলস্টেশন মাস্টার সফিকুর রহমান জানান, দুপুর ১২টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকে একটি বিকল্প ইঞ্জিন আনার পর দুর্ঘটনার ফলে আটকা পড়া ওই ট্রেনের ১৭টি বগি নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত ইঞ্জিন এবং বগি লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আনার পর বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়। এ দুর্ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফিরোজ ইফতেখারকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেনÑ বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোক) সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় সংকেত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ রফিকুল ইসলাম। তাদের আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
×