ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাই এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সফল গবেষণায় ‘ম্যাক্সমেলন’ চাষ হবে বরেন্দ্রতে

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২ জুলাই ২০১৭

সফল গবেষণায় ‘ম্যাক্সমেলন’ চাষ হবে বরেন্দ্রতে

ডি এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ দেশের একমাত্র বেসরকারী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে। সাম্প্রতিককালে তাদের অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে শিক্ষক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য তুলে ধরেন। ‘ম্যাস্কমেলন’ বা স্থানীয়ভাবে ফলটিকে বাঙ্গি বলা হয়ে থাকে। জাপান থেকে নিয়ে আনা প্রযুক্তি বলে প্রায় দুই বছর বরেন্দ্র এলাকায় এর নিবিড় গবেষণা করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফলটি উদ্ভাবন করেছেন। নয়াগোলা-আমনুরা সড়কের ধারে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসসংলগ্ন বরেন্দ্র মাঠে দুই বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন গবেষক। এটি জালিকা আকার ত্বকযুক্ত গোলাকার শুষ্ক মৌসুমের অর্থাৎ খরাকালীন গোলাকার একটি ফল। ওজন ৮০০ থেকে ১২০০ গ্রাম হয়ে থাকে। খেতে সুস্বাদু ফলটি রোপণের ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সংগ্রহ করা যায়। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাসহ ইউরোপের দেশসমূহ একটি সুস্বাদু ফল হিসেবে বহুল প্রচলিত। ফলটি পাকলে ফাইবারে ভর্তি থাকে। শর্করার পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে ডায়াবেটিক রোগীদের এই ফল গ্রহণ করতে কোন অসুবিধা নেয়। এক কথায় শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কঠোরভাবে। তাই বহু বছর ধরে ফলটি ডায়াবেটিক রোগীদের কাছে খুবই আদরের ও গ্রহণ যোগ্য। এ ছাড়াও শরীরে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে থাকে। প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকায় দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিসহ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুইে বাড়িয়ে থাকে বলে গবেষক মন্তব্য করেছেন। দেশীয় জাতের তুলনায় স্বাদ, পুষ্টি ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষক পর্যায়ে দারুণভাবে জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই গবেষক। বরেন্দ্রসহ বাংলাদেশের সর্বত্র এই ফলের চাষ ছড়িয়ে দিতে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ সার্বিকভাবে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এই বছর থেকে কৃষকদের মধ্যে চাষে উৎসাহ দিতে কিছু কিছু বীজ বিতরণ করা হবে। এই বিরল প্রজাতির ফলটি রিলিজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এবিএম রাশেদুল হাসানসহ সকল বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। ‘ম্যাক্সমেলন’ নামের ফলটি আবাদে এই অঞ্চলের চাষীদের উৎসাহিত করবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
×