ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিনে আনন্দ আয়োজন

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৪ জুন ২০১৭

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিনে আনন্দ আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহুমাত্রিক পরিচয়ের এক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। একাধারে তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক, প্রাবন্ধিক, নতুন দিগন্ত নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও সমাজ-চিন্তক। এছাড়াও বাকস্বাধীনতা, মানবিক অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক আন্দোলনেও রয়েছে তার অগ্রণী ভূমিকা। পুরোধা। শুক্রবার ছিল বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের ৮১তম জন্মবার্ষিকী ও ৮২তম জন্মদিন। শুভাকাক্সক্ষীদের ভালবাসায় আনন্দ আয়োজনে উদ্্যাপিত হলো সকলের প্রিয় এই মানুষটির জন্মদিন। আর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর শুভানুধ্যায়ীরা। ছুটির দিনের বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে ভালবাসা শিক্ষার্থী এবং তার শুভাকাক্সক্ষীদের সরব উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে জন্মদিনের আয়োজনটি। বিরাশি বছরে পা দিয়ে শরীরে বয়সের ছাপ থাকলেও মননে তারুণ্যের প্রাণোচ্ছলতায় উজ্জ্বল অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যতদিন বাঁচব, ততদিন কাজ করে যেতে চাই। সারাজীবন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি, সাম্যের জন্য লড়াই করেছি, জীবনের শেষদিনেও তা করতে চাই। কাজটার মধ্য দিয়ে যদি আনন্দ থাকে, সন্তোষ পাওয়া যায় তাহলে মনে হয় জীবন সার্থক। কাজের মধ্য দিয়েই জীবনকে উপভোগ করছি। জš§দিনে তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা রাখেন না অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার কথা, আমি প্রচ্ছন্নে থাকাটা পছন্দ করি। এবার তার সুহƒদ ও প্রিয় শিক্ষার্থীদের অনুরোধে জš§দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এ বরেণ্য শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক নামের আদ্যক্ষর দিয়ে সিক (ঝওঈ) নামেই পরিচিতি তার ছাত্রসহ অনেকের কাছেই। জš§দিনের আনুষ্ঠানিকতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এড়িয়ে চললেও সকালে শুভেচ্ছার বার্তা নিয়ে ধানম-িতে তার বাড়িতে এদিন উপস্থিত হন তার শুভানুধ্যায়ীরা। আর বিকেলে অনুষ্ঠানে অনেকেই ফুল নিয়ে উপস্থিত হন। ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভক্তরা বলেন, সমাজে এমন কিছু মানুষ জš§গ্রহণ করেন, যাদের কাজ ও চিন্তার বহুমুখিতা অনুকরণীয়। আজীবন শিক্ষাব্রতী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তেমনি একজন মানুষ। বিত্তবৈভব, ক্ষমতার মোহ তাকে কখনও স্পর্শ করেনি। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করে আজও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। গবেষণা, লেখালেখি, পত্রিকা সম্পাদনা, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অদ্বিতীয় কাণ্ডারি তিনি। মৃদুভাষী, নিরহঙ্কারী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রুচি ও ব্যক্তিত্বের এক অনন্য উদাহরণ। জš§দিনের অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, উদীচীর সভাপতি ড. সফিউদ্দিন আহমেদ, বাসদের সম্পাদক খালিকুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক আজফার হোসেন, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।
×