ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোটরসাইকেল উৎপাদনে সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখার পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১৯ জুন ২০১৭

মোটরসাইকেল উৎপাদনে সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখার পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোটরসাইকেল উৎপাদনে সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাশাতো ওয়াতানাবে। তিনি বলেন, গত অর্থবছরে জারি করা এসআরও-এর মাধ্যমে শিল্পবান্ধব শুল্ক কাঠামো নির্ধারণের ফলে বাংলদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্প খাতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক থাকায় ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর প্রসার এবং কর্মসংস্থান বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুত প্রগ্রেসিভ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প খাত বিকশিত হবে। রবিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশে মানসম্পন্ন শিল্পায়নের ধারা জোরদারে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ১ জুন-২০১৭ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা প্রজ্ঞাপনের কথা তুলে ধরেন এবং এর ফলে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী শিল্প খাতের বিকাশ ব্যাহত হবে বলেও মন্তব্য করেন। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের স্বার্থে মোটরসাইকেল উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখতে শিল্পমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনÑ সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাজেটের ১০ শতাংশ করার দাবি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ও ভোক্তা অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কোন দেশে কোন নাগরিকের স্বাস্থ্য ব্যয় তার সামগ্রিক ব্যয়ের ৩০ শতাংশের বেশি হলে সে দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল বলে বিবেচিত হয়। অথচ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় ৬৩ শতাংশ। ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডাঃ প্রাণ গোপাল, বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর প্রমুখ।
×