ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Taslima Afroy

নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১০ জুন ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01711-043777 e-mail: [email protected] (পর্ব -৩২) খাদ্যের প্রধান উপাদান ও উৎস : সম্মিলিতভাবে উল্লেখিত কার্যসমূহ আমাদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজন। এ কাজগুলো সুচারুরূপে সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন খাদ্য উপাদান প্রয়োজন। খাদ্য অনেকগুলো রাসায়নিক বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত। এই রাসায়নিক বস্তুগুলোকে খাদ্য উপাদান বলে । এই উপাদানগুলো মধ্যে পুষ্টি নিহিত থাকে, তাই খাদ্য উপাদানকে পুষ্টি উপাদানও বলা হয়। অধিকাংশ খাদ্যে একাধিক খাদ্য উপাদান থাকে। কোনো খাদ্যে যে উপাদানটি বেশি পরিমাণে থাকে তাকে সেই উপাদানের খাদ্য হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। উপাদান অনুযায়ী খাদ্যবস্তুকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ১. আমিষ : দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণ করে। ২. শর্করা : দেহে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। ৩. ¯েœহ ও চর্বিজাতীয় খাদ্য : দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে। এছাড়া আরও তিন প্রকার উপাদানও দেহের জন্য প্রয়োজন। যেমন- ১. খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন : রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় ও বিভন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনা যোগায়। ২. খনিজ লবণ : বিভিন্ন জৈবিক কাজে অংশ নেয়। ৩. পানি : দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে, এছাড়া কোষের কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ বা কোষ অঙ্গাণুসমূহকে ধারণ করে। আমিষ (চৎড়ঃবরহ) : আমিষ জাতীয় খাদ্য কার্বন (ঈ), হাইড্রোজেন (ঐ), অক্সিজেন (ঙ) ও নাইট্রোজেন (ঘ) দ্বারা গঠিত। আমিষে শতকরা ১৬ ভাগ নাইট্রোজেন থাকে। আমিষে সামান্য পরিমাণে সালফার (ঝ), ফসফরাস (চ) এবং আয়রন (ঋব) থাকে। নাইট্রোজেন এবং শেষোক্ত উপাদানগুলোর উপস্থিতির কারণে আমিষের গুরুত্ব শর্করা ও ¯েœহপদার্থ থেকে আলাদা। একমাত্র আমিষ উপাদানেই নাইট্রোজেন বর্তমান। শধু আমিষজাতীয় খাদ্যই দেহে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে বলে পুষ্টিবিজ্ঞানে আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। আমিষের উৎস : আমরা আগেই জেনেছি মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল শিমের বীচি, শুঁটকি মাছ, চিনাবাদম ইত্যাদি থেকে আমরা আমিষ পাই। উৎস অনুযায়ী আমিষ দুই প্রকার : ১. প্রাণিজ আমিষ ২. উদ্ভিজ্জ আমিষ প্রানিজ আমিষ : মাছ, মাংস, ডিম, পনির, ছানা, কলিজা বা যকৃত ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষ। এসব খাদ্যে দেহের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় বলে এগুলো উচ্চমানের আমিষ। এসব খাদ্যের জৈবমূল্য বেশি। আমাদের খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে শতকরা ২০ ভাগ প্রাণিজ আমিষ থাকা দরকার।
×