ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ঈদের আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৭ জুন ২০১৭

চট্টগ্রামে ঈদের আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ঈদের আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার। নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ ফ্লাইওভারটি চালু করা হচ্ছে লুপ এবং র‌্যাম্পের কাজ শেষ না করেই। ঈদের পর এ কাজটুকু শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। চউক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেন বিশিষ্ট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। মাঝে বৃষ্টির কারণে কাজ বিঘিœত হলেও এখন চলছে ফিনিশিং টাচ। প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত। প্রায় এক বছর আগেই ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা এখনও অতিক্রান্ত হয়নি। লুপ-র‌্যাম্পের কাজ বাকি থাকলেও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে রমজান এবং ঈদের সময় নগরীতে যানজট কমাতে ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে ফ্লাইওভারটি খুলে দিতে। যেটুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা যানবাহন চলাচলের জন্য পুরো উপযোগী। এখন চালু করে দিলে ঈদের পরে বাকি কাজটুকু শেষ করা যাবে। চট্টগ্রামে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫৪ ফুট প্রস্থের এ ফ্লাইওভারটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন হয় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর। এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬৯৬ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে এ ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি মুরাদপুর থেকে উঠে লালখান বাজার এলাকায় এসে নেমেছে। চট্টগ্রামে উন্নয়ন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে চউকের মাধ্যমে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে বহদ্দারহাটে এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী এবং দেওয়ানহাটে দুটি ফ্লাইওভার। এছাড়া বাস্তবায়ন হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নির্মিত হয় বন্দর ফ্লাইওভার। এর মাধ্যমে পণ্য ও কন্টেনারবাহী যানবাহনগুলো শহর এড়িয়ে টোল রোড হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করে।
×