ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

৭১ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৬ জুন ২০১৭

৭১ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি

সংসদ রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬ হাজার ৬২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের প্রায় ১৯৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৯৫টি দেশের সঙ্গে আমদানি রফতানি বাণিজ্য হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য জানান। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আমদানি-রফতানি সম্পর্ক থাকা ১৯৮টি দেশের মধ্যে ৭১টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬ হাজার ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপরই ভারতের সঙ্গে বাাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৯৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য ঘাটতির অবসান ও হ্রাস করার লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার দূরীকরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এফটিএ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, দেশের রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমঘন শিল্প স্থাপনকে উৎসাহিতকরণ, রফতানি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন পরীক্ষাগার স্থাপন, বিদ্যুত খাত ও দেশের অবকাঠামোর উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য অসমতা দূরীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিএসটিআই ও ভারতের বিআইএসের সঙ্গে একটি সমঝোতা এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পে কমপ্লায়েন্ট সুবিধা মেনে চলা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার, শিশুশ্রম ব্যবহার না করার ইত্যাদি অব্যাহত রয়েছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, দেশের রফতানি আয়কে আরও বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের অধিক পরিমাণে শ্রমনির্ভর রফতানি শিল্প স্থাপন, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান, রফতানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান, সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। পলিথিনের বদলে পলিমার ব্যাগ পলিথিনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সরকারের নানামুখী পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি পাট হতে পলিথিন নয় তবে দেখতে পলিথিনের মতো কিন্তু পচনশীল পলিমার ব্যাগ উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। কারখানাটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। পাট পলিমার হতে ব্যাগ তৈরির কারখানা স্থাপনের উদ্দেশে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। শীঘ্রই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। এরপর পাটের পলিমার ব্যাগ বাজারে দেখা যাবে।
×