ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় বেঙ্গল থিয়েটারের ‘জলপুত্র’ মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১ জুন ২০১৭

শিল্পকলায় বেঙ্গল থিয়েটারের ‘জলপুত্র’ মঞ্চস্থ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জেলে সম্প্রদায়ের প্রাত্যহিক জীবনাচরণ, প্রাপ্তির আনন্দ, অপ্রাপ্তির আর শোষিত হওয়ার বেদনা, অশিক্ষার অন্ধকার এসব নিয়েই নাটক ‘জলপুত্র’। উপন্যাসের বর্ণনার মতোই সমুদ্রভিত্তিক জেলে সম্প্রদায়ের চাল-চলন, অপ্রাপ্তির বেদনা, প্রাপ্তির উল্লাস, শোষণের হাহাকার, অশিক্ষার অন্ধকার এ সবই স্থান পেয়েছে নাটকটিতে। যেখানে এক জেলে নারীর সংগ্রামশীল জীবন কথনের পাশাপাশি, শোষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য জলপুত্রদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে শৈল্পিকভাবে। বেঙ্গল থিয়েটার প্রযোজিত নতুন এ নাটকটির তৃতীয় মঞ্চায়ন হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে বুধবার সন্ধ্যায়। কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের জলপুত্র উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছেন রুমা মোদক আর নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নাট্যনির্দেশক ও বেঙ্গল থিয়েটারের অন্যতম পরিচালক হাসান রেজাউল। জানা যায় ‘জলপুত্র’ উপন্যাসটি হরিশংকর জলদাসের প্রথম উপন্যাস। যা তিনি ৫৪ বছর বয়সে রচনা করেন। এ প্রসঙ্গে হরিশংকর জলদাসের ভাষ্য-‘জলপুত্র’ আমারই সম্প্রদায়ের ভূগোল-ইতিহাস যেন। জেলেদের প্রাপ্তি-হাহাকার, আনন্দ-বিলাপ, মৃত্যু আর জেগে ওঠার চালচিত্র এটি। আমার পিতামহ, আমার ঠাকুরমা, জেঠা, কাকা, মামা-এরা ‘জলপুত্র’ উপন্যাসের কুশীলব হয়েছে। ওদেরই মধ্য দিয়ে আমি একটি আওয়াজ তুলতে চেয়েছি-অধিকার বোধের আওয়াজ, বেঁচে থাকতে পারার আওয়াজ। ‘জলপুত্র’ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে আমি পরবর্তী উপন্যাসগুলো লেখার প্রেরণা পেয়েছি। ‘জলপুত্র’ জলের উপন্যাসও বলা যেতে পারে। জলের মতোই সহজ এবং জটিল এই উপন্যাসটি। নাট্যকার রুমা মোদক বলেনÑ ‘জলপুত্র’কে নাট্যরূপ দেয়া কঠিন ছিল এ কারণে যে, সে জীবন এবং যাপন, যুদ্ধ এবং সংগ্রাম লেখকের যতটা চেনা আমার ততটা অচেনা। উপন্যাসের প্রধান অপ্রধান বিচিত্র চরিত্র, বিচিত্র ঘটনাপ্রবাহ. উপঘটনা, কাহিনীর উত্থান পতন বিন্যাস, বিশালায়তন জীবনধারাকে মঞ্চের সীমিত সাধ্যে তুলে আনার দুঃসাহস করেছি টেক্সটের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেই। সাহিত্যকর্মের নাট্যায়নে আমি অতীতেও মূল সাহিত্যেও টেক্সটের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। কেননা সৃজনশীলতায় লেখকমাত্রই স্বাতন্ত্র্য। এ উপন্যাসে সে স্বাতন্ত্র্যতা স্পর্শ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। নাটকটির কোরিওগ্রাফি করেছেন মনি-মুক্তা। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় রবিন দত্ত। সার্বিক তত্ত্বাধানে রয়েছেন শ্যামা রনি। নাটকটির কুশিলবরা হলেন-তাহমিনা, সিনথিয়া, প্রিয়ন্তী, রাসেল, হাবিব, আকাশ, রাজীব, সজীব, উজ্জল, তোফায়েল, সাবিব, অর্থী, রকি, খাদিজা, রাশেদুল, প্রতিভা, জিসান, রবিন, শাহিন, জিয়া, রেজাউল প্রমুখ।
×