ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪১তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৮ মে ২০১৭

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪১তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এদেশের চারুশিল্প ভুবনের পথিকৃৎ, প্রকৃতি ও মানুষের চিত্রকর, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রণী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪১তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ রবিবার। তিনি ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জয়নুল আবেদিনের প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে শিল্পাচার্যের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পাশাপাশি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। অনুষদের লেকচার থিয়েটার ভবনে অনুষ্ঠিত জয়নুল আবেদিনকে নিবেদিত আলোচনায় অংশ নেবেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী ও শিল্প-সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ড. বুলবন ওসমান। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেবেন অনুষদের ডিন ও চিত্রশিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন। এদেশের শিল্পের ভিত রচনায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জয়নুল আবেদিন। তাঁর হাত ধরেই বিকশিত হয় এদেশের চারুশিল্প মাধ্যম। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট)। তিনি স্বদেশভূমিতে সবাইকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়েছেন চারুকলা আন্দোলনকে। রং-তুলির ছোঁয়ায় জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে এঁকেছেন ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’। ১৯৬৯ সালে তাঁর ক্যানভাসে উঠে এসেছে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট। ১৯৭০ সালে গ্রাম বাংলার উৎসব এঁকেছেন ৬৫ ফুট দীর্ঘ বিখ্যাত চিত্রকর্ম নবান্ন। একই বছরে মনপুরা নামে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের হৃদয়স্পর্শী চিত্র সৃজন করেছেন। শিল্পীর এসব কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে পেয়েছে ব্যাপক প্রশংসা ও স্বীকৃতি। মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে সংস্কৃতির বিকাশের স্বীকৃতিস্বরূপ মহাশূন্যের বুধ গ্রহের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে শিল্পাচার্যের নামে। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে ও নাসা মিলে এটির নাম দিয়েছে ‘আবেদিন ক্রেইটার’। ১৯৭৪ সালে দেশ ভাগের মধ্যদিয়ে সঙ্গীসাথীদের নিয়ে জন্মভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন জয়নুল আবেদিন মাটির টানে, নাড়ির টানে, জš§ভূমির প্রতি আপন অঙ্গীকার রক্ষার তাগিদ অনুভব করে। স্বদেশে নিজস্ব শিল্পাঙ্গন বা শিল্প পরিবেশ আর শিল্পী সমাজ গড়ে তোলার স্বপের জাল বুনেছেন আজীবন। জাতীয় অধ্যাপক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এদেশের পথিকৃত সৃজনশিল্পীÑ একাধারে চারুকলাচর্চাবিদ সংগঠক হিসেবে সর্বজনবিদিত। শিল্পাচার্য তাঁর সারা কর্মজীবনের বেশিরভাগই ব্যয় করেন জš§ভূমির শিল্প-সংস্কৃতির অঙ্গনের ঐতিহ্য সংরক্ষণের চিন্তায়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন তাঁর এক লেখায় লিখেছেন, ‘জীবনই অভিজ্ঞতা, অভিজ্ঞতাই জীবন। সবচেয়ে সুন্দর হলো সত্যÑ সে সত্যটা হলো জীবন।’ আর সেই সুন্দরের সাধনাই সারাজীবন করে গেছেন শিল্পাচার্য। ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলায় জš§গ্রহণ করেন এই বরেণ্য শিল্পী।
×