ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিষয় ॥ বিজ্ঞান;###;মোঃ মাসুদ খান

জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২৪ মে ২০১৭

জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মেট্রোপলিটন ক্রিয়েটিভ স্কুল এন্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা। ই-মেইল: সধংযঁফ.শযধহ.সপংপ@মসধরষ.পড়স অধ্যায়-২ ॥ জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজ তোমাদের জন্য তোমাদের জন্য থাকছে অধ্যায়Ñ২ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর। প্রথমে নিজে নিজে চেষ্টা করো, পরে উত্তরের সঙ্গে মিলিয়ে নাও। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও : নাসরিন ও তামিমা দুই বোন। তারা উভয়েই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। নাসরিন ২ বছর আগে বাড়িতে একটি বাগান তৈরি করেছিল। উক্ত বাগানে সে একটি আম গাছ লাগিয়েছিল। নাসরিন লক্ষ করল ৩ বছরে আম গাছটি অনেক বড় হয়েছে। সে বিজ্ঞান বই পড়ে জানতে পারে যে, জীবের এ বৃদ্ধি এক ধরনের কোষ বিভাজনের কারণে হয়েছে। অপরদিকে তামিমা আরো এক প্রকার কোষ বিভাজন সম্পর্কে জানতে পারল যা প্রাণীর জনন মাতৃকোষে ঘটে থাকে। ক. ডিপ্লয়েড কী? খ. মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. নাসরিনের বাগানে লাগানো জীবের বৃদ্ধির সাথে কোন কোষ বিভাজন সম্পৃক্ত ব্যাখ্যা কর। উত্তর: ক. দুটি হ্যাপ্লয়েড কোষের মিলন ঘটলে ঐ অবস্থাকে ডিপ্লয়েড (২হ) বলে। খ. যে কোষ বিভাজনে একটি প্রকৃত কোষ বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে মাতৃকোষের তুলনায় অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট চারটি অপত্য কোষে পরিণত হয় তাকে মিয়োসিস বলে। মিয়োসিস বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দুই বার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোম বিভাজিত হয় মাত্র একবার। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়। গ. নাসরিনের লাগানো জীবের বৃদ্ধির সাথে মাইটোসিস কোষ বিভাজন সম্পৃক্ত। উদ্ভিদের দেহকোষ মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি এক বার বিভাজিত হয়ে সমগুণ সম্পন্ন দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে এবং ক্রোমোজোম সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখে। এই বিভাজনটি দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। প্রথম পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন হয়। নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে ক্যারিওকাইনেসিস এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে সাইটোকাইনেসিস বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন একটি ধারাবাহিক পদ্ধতি তাই প্রথমে ক্যারিওকাইনেসিস পরবর্তীতে সাইটোকাইনেসিস হয়। তবে ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস শুরু হওয়ার আগে কোষটির নিউক্লিয়াসকে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়। কোষটির এই অবস্থাকে ইন্টারফেজ বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ফলে কোষের স্বাভাবিক আকার, আকৃতি ও আয়তন বজায় থাকে। এককোষী জীবে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি, অঙ্গজ প্রজনন এবং জননকোষের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। ক্ষতস্থানে নতুন কোষ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবদেহের ক্ষতপূরণের জন্য মাইটোসিস অপরিহার্য মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ফলে একই ধরনের কোষের উৎপত্তি হওয়ায় জীবজগতের গুণগত বৈশিষ্ট্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন না হলে জীবের দৈহিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে। অতএব, নাসরিনের বাগানে লাগানো জীবের বৃদ্ধির সাথে মাইটোসিস কোষ বিভাজন সম্পৃক্ত।
×