ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ সূত্রে বলা হয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট রাশিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। ইতোপূর্বে রাশিয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা নেটওয়ার্ক বন্ধের যে সিদ্ধান্ত কিয়েভ গ্রহণ করে তার প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ ধরনের সাইবার হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপি।
এ প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার পেট্রো পোরোশেনকোর প্রশাসন উপপ্রধান দিমিত্রি শিমকিভ তার ফেসবুকে বলেন, রুশ সামাজিক নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধ করার প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি জারির পরপরই রুশ সাইবার হামলা শুরু হয়। তবে প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইট এ হামলা প্রতিহত করেছে এবং দেশের আইটি বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন বড় ধরনের কোন ঝুঁকি নেই বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে কিয়েভের সব ওয়েবসাইট সচল পাওয়া যায়। তবে মস্কো থেকে কিয়েভের এসব অভিযোগের কোন জবাব পাওয়া যায়নি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং পাশ্চাত্য সরকারগুলো ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালাতে খুব একটা সক্ষম না হলেও তারা রুশ সরকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তি বিশেষকে এ ব্যাপারে দায়ী করে আসছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তিন বছর ধরে চলা রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে কিয়েভ সরকার গত মঙ্গলবার রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ইউক্রেন সরকারের এ পদক্ষেপে সে দেশেরই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও বাকস্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
এ ব্যাপারে বুধবার দেয়া এক বিবৃতিতে মানবাধিকার রক্ষা গবেষক তানিয়া কুপার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পোরোশেনকো এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউক্রেনের বাকস্বাধীনতার ওপর প্রচ- আঘাত হেনেছেন এবং এর মাধ্যমে ইউক্রেনবাসীর পছন্দমতো তথ্য জানার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: