ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের রহস্য ভেদ

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের  রহস্য ভেদ

এ্যান্টার্কটিকার ‘ব্লাড ফলস’ বা রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তীব্র ঠা-ার মধ্যেও কিভাবে এ জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালান তারা। শুধু তাই নয়, জলপ্রপাতের পানি লাল হওয়ার কারণ কী সেটা নিয়েও এতদিন গবেষণা চলছিল। কেউ বলছেন লাল রঙের শ্যাওলার কারণে পানির রং লাল আবার কেউ বলছেন অক্সিডাইজড আয়রনই এর জন্য দায়ী! এ্যান্টার্কটিকার ম্যাক মারডো শুষ্ক উপত্যকায় পাঁচতলা সমান উঁচু এ জলপ্রপাতটি ১৯১১ সালে আবিষ্কার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ গ্রিফিথ টেলর। পানির রং নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকলেও ব্লাড ফলসের উৎস নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশাই থেকে যায়। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা এবং কলোরাডো কলেজের একদল গবেষক ব্লাড ফলসের উৎসস্থল নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এ জলপ্রপাতটির মূল উৎস একটি নোনা জলের হ্রদ, যেটা ৫০ লাখ বছর ধরে টেলর হিমবাহের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে বিজ্ঞানীরা রেডিও-ইকো সাউন্ডিং প্রযুক্তির সাহায্য নেন। এ প্রযুক্তির সাহায্যে হিমবাহের নিচে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে সিগন্যাল পাওয়া গেছে, তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন হিমবাহের নিচে তরল অবস্থায় থাকা এ বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব। প্রশ্ন উঠছে, হিমবাহের নিচে কিভাবে হ্রদের পানি তরল অবস্থায় রয়েছে? হিমবাহ বিজ্ঞানী এরিন পেতিতের মতে, জমে যাওয়ার আগে পানি তাপ ছাড়ে। সে তাপ নোনা পানিকে জমতে দেয় না। ফলে ওই তাপমাত্রাতেও পানি তরল অবস্থাতেই থেকে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানান, যখন লৌহসমৃদ্ধ হ্রদের পানি অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসছে, তখনই সেটা লাল রঙের হয়ে যাচ্ছে। ফলে টেলর হিমবাহের গায়ে রক্তবর্ণের মতো দাগ তৈরি হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×