ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭-১২ টাকা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

পাবনায় চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭-১২ টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চালের দাম। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৭ থেকে ১২ টাকা। বিশেষ করে মোটা চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। ধানের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে বলে মিল মালিকরা দাবি করলেও খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকদের একটি অসাধু সিন্ডিকেট চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে দাম বৃদ্ধি করেছে। গেল কয়েক দিন ধরে দেখা গেছে, পাবনা শহরের বড় বাজারসহ জেলার আতাইকুলা, টেবুনিয়া, কাশিপুর, বনগ্রাম, কাশিনাথপুর, সুজানগর, দুবলিয়া, দাপুনিয়া, দেবোত্তর হাটবাজারে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা এবং চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা হারে প্রায় প্রতিদিনই চালের দাম বেড়েছে। শহরের বড় বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন জানান, চিকন চালের মধ্যে পাইজাম, জিরা ও নাজিরশাইলের দাম কেজিতে ১০-১২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে, ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা দরে। দাম বেশি বেড়েছে মোটা চালের। ৩৫ টাকার স্বর্ণা জাতের মোটা চাল এখন বিক্রি হচ্ছে, ৪২-৪৫ টাকায়। বাজারে হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করে খুচরা চাল ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ বলেন, যে চাল এক সপ্তাহ আগে ৩৩-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে এখন সেই চালই বিক্রি করতে হচ্ছে, ৪০-৪৫ টাকায়। ফলে তাদের বেচাকেনা কমে গেছে। এদিকে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণীসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। আতাইকুলা থানার তৈলকুপী গ্রামের রিকশাচালক ইছাব আলী জানান, প্রতিদিন তার সংসারে দুই কেজি চাল লাগে। ৮০-৯০ টাকা দিয়ে চাল কেনার পর অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। পাবনা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামছুর রহমান মানিক জানান, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ থাকায় এবং মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা ধান মজুদ করায় চালের দাম বাড়ছে। তবে আমদানি করা চালে ভ্যাট প্রত্যাহার করলে বাজার স্বাভাবিক হবে বলে। এছাড়া বাজারে নতুন ধান আসা মাত্রই চালের দাম কমে যাবে তিনি দাবি করেছেন।
×