ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা নববর্ষে থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে তিন নাটক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

বাংলা নববর্ষে থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে তিন নাটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র চলছে নানান প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায় একই দিনে তিন নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করবে দেশের অন্যতম নাট্যদল থিয়েটার। আগামীকাল শুক্রবার বেইলি রোড নাটক সরণিতে অবস্থিত মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে বেলা ১১টায় শুরু হবে দিনব্যাপী এ উৎসব। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটি। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির পরিচালক (সাংগঠনিক) সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, উৎসবের পৃষ্ঠপোষক বিবিএস কেবলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নোমান হাওলাদার ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্সপ্রেশনস্ লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ আপন আহসান। রামেন্দু মজুমদার বলেন, বাংলা বর্ষবরণ উৎসব বাঙালীর প্রাণের উৎসব। আপনারা জানেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্প্রতি ইউনেস্কো স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ কারণে এবারের বর্ষবরণে ব্যাপক আয়োজন রয়েছে। নাট্যসংগঠন থিয়েটারের আগেও দিনব্যাপী নাট্যাভিনয়ের আয়োজন করেছে। সমসাময়িক বাঙালীর শেকড় বা মূল্যবোধের জায়গায় নানা উপায়ে, নানা দিক থেকে আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের বৈষিক উন্নতি হয়েছে কিন্তু মানবিকতার অবনতি ঘটেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। এমন সময়ে আমাদের প্রয়োজন অনেক বেশি বেশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজন ও চর্চা। সেই ভাবনা থেকেই এই আয়োজন। এবারে তাই দলটি মঞ্চায়নের জন্য তাদের জনপ্রিয় তিনটি নাটক বাছাই করেছে। যে তিনটি নাটক এদেশের, এ জাতির শেকড় ও অস্তিত্বের কথা বলে। তিনটি নাটকে মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং প্রকৃতি প্রধান উপজীব্য। স্মৃতিবিজড়িত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পুরাতন ভবন বন্ধে ‘সকৃতজ্ঞ স্মরণ’ ‘বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে। নানান ধরনের সঙ্কটের মধ্যে আছি। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ও অনুপ্রবেশ দেখছি। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভূমিকা রাখবে। দুনিয়া যতদিন থাকবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি থাকবে, চেতনা থাকবে ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরও থাকবে’- ২১ বছর ২১ দিনের যাত্রা শেষ করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পুরাতন ভবন বন্ধ অনুষ্ঠান ‘সকৃতজ্ঞ স্মরণে’ এ কথা বলেন জাদুঘর ট্রাস্টি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ১৯৯৬ সালে আটজন ট্রাস্টির হাত ধরে এক ঝড়ের বিকেলে সেগুনবাগিচার ভাড়াবাড়িতে যাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। যার সমাপনী দিনে বুধবার আয়োজন করা হয় ‘সকৃতজ্ঞ স্মরণ : একুশ বছরের পথ পরিক্রমণ’ শীর্ষক প্রীতি সম্মেলন। যাতে আট ট্রাস্টির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছয় ট্রাস্টিÑ ডাঃ সারওয়ার আলী, কবি স্থপতি রবিউল হুসাইন, বর্তমান সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মফিদুল হক ও আক্কু চৌধুরী। অন্য দুই ট্রাস্টি আলী যাকের ও সারা যাকের উপস্থিত ছিলেন না। তারা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সাবেক ও বতর্মান কর্মী-সুহৃদরা। পুরো আয়োজন সঞ্চালনা করেন জাদুঘরের অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম। শুরুতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী। তিনি বলেন, প্রথমেই ধন্যবাদ এই বাড়িওয়ালাকে; যখন কেউ মুক্তিযুদ্ধের কথা উচ্চারণ করতেন না, তেমন সময় তিনি আমাদের এই বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। সে সঙ্গে গত ২১ বছর ২১ দিন যথেচ্ছ ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছেন। এই বাড়িটির নাম ‘আনন্দভবন’। গত দিনগুলোতে আমরা এখানে আনন্দ করেছি। আমাদের আশা, মানুষ এখানে আমাদের পাশে যেভাবে ছিলেন, নতুন ভবনেও সেভাবেই পাশে থাকবেন। মফিদুল হক বলেন, আজকের অনুষ্ঠান সবার মধ্যে আবেগমথিত। অনেক স্মৃতি রয়েছে এ জাদুঘরকে ঘিরে। এই বাড়িতে আমাদের হৃদয়ের এক সংযোগ ঘটেছে। সবাইকে নিয়ে এখানে আমাদের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, ১৬ এপ্রিল নতুন জায়গায় নতুন করে তার প্রকাশ ঘটবে এটাও আমাদের আনন্দের। জাদুঘর ট্রাস্টি রবিউল হুসাইন বলেন, একুশ বছর ধরে পথ হেঁটেছি-এ পথ চলা চলতেই থাকবে। এতদিন ছোট্ট একটি জায়গায় আমরা পুরো বাংলাদেশের ইতিহাসকে তুলে রেখেছিলাম, এখন বৃহৎ পরিসরে সেটা হবে এ আনন্দ আমাদের সবার। নাট্যতীর্থ প্রথম প্রেযোজনা ‘কমলা সুন্দরী’ মঞ্চস্থ নাট্যতীর্থের প্রথম প্রযোজনা মৈমনসিংহ গীতিকা ‘কমলা সুন্দরী’ নাটকের ৭১তম প্রদর্শনী হয় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বুধবার সন্ধ্যায়। নাটকটি মূল পালা-দ্বিজ ঈশান, সংগ্রহ ও সংকলিত করেছেন দীনেশ চন্দ্র সেন।
×