ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন দিনব্যাপী যাত্রা উৎসবের সমাপনী

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৬ এপ্রিল ২০১৭

তিন দিনব্যাপী যাত্রা উৎসবের সমাপনী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের শহরের মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপী যাত্রা উৎসবের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। উৎসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল শিল্পকলা একাডেমি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গত মঙ্গলবার এ উৎসব শেষ হয়েছে। এর আগে রবিবার রাত ৮টায় এ উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. হুমায়ুন কবীর। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার ও যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলনকান্তি দে। উদ্বোধনী আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান বুলু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু। আলোচনা শেষে রবিবার যশোরের যাত্রা গোষ্ঠী সিজার অপেরা যাত্রাপালা ‘দেবী সুলতানা’ মঞ্চস্থ করে। সোমবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন দেশযাত্রা অপেরা ‘মমতাময়ী মা’ যাত্রাপালার মঞ্চায়ন করে। আর শেষ দিন মঙ্গলবার ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’ যাত্রাপালা মঞ্চায়ন করে তুষার অপেরার যাত্রা শিল্পীরা। যশোর শহরে মানুষ শেষ কবে যাত্রা দেখেছেন, তা মনে করতে পারেন না। গ্রামাঞ্চলে এখনো কোথাও কোথাও যাত্রাপালা হলেও অশ্লীলতাই তার উপজীব্য বলে অভিযোগ আছে। ফলে শিল্পের এই ঐতিহ্যবাহী শাখাটি হারিয়ে যেতেই বসেছে। এমন সময় যশোর শহরের কেন্দ্রস্থলে তিন দিনের যাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়। উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীর আয়োজন সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়। উন্মুক্ত মঞ্চে এ যাত্রা দেখতে হাজির হন সমাজের সব শ্রেণী-পেশার নারী-পুরুষ। তারা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম এ যাত্রা অনুষ্ঠান প্রতিবছরই আয়োজন করা হবে বলে প্রত্যাশা করেন। উৎসব আয়োজন নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানান, বৃহত্তর যশোর ছিল যাত্রা শিল্পের তীর্থভূমি। বর্তমানে করুণ অবস্থা যাত্রা শিল্পের। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উন্মুক্ত স্থানে যাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সপরিবারে সবাই মিলে যাত্রা দেখতে পারেন।
×