ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে কোন চুক্তি করতে অসুবিধা কোথায় ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ৫ এপ্রিল ২০১৭

জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে কোন চুক্তি করতে অসুবিধা কোথায় ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থায়ন জটিলতায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ প্রায় ছয় মাস পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এখন অর্থায়ন জটিলতা কেটে যাওয়ায় এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত অংশের কাজ ২০১৮ সালে শেষ করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে কাদের বলেন, বনানী পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে ফান্ডিং প্রক্রিয়া শুরু হলে কাজ আরও গতি পাবে। এ প্রকল্পের কাজ উড়ে যায়নি। আমরা যে কোনভাবে এটা এগিয়ে নিতে চাই বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার ঢাকার কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দেশের স্বার্থ অক্ষুণœ রেখে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হলে তাতে অসুবিধা কোথায় তা বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তিই করা হোক, ততে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ আগে দেখা হবে। দেশের স্বার্থে সরকার ‘হিমালয়ের মতো’ অবিচল। আগামী ৭ এপ্রিল তিনদিনের সফরে দিল্লী যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানে তার উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে, যার মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক একটি চুক্তিও রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এর সমালোচনায় বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, ভারতের সঙ্গে কোন ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিরক্ষা হোক, সামরিক হোক, অসামরিক হোক, যে কোন চুক্তিই হোক, আমার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, আমার জাতীয় স্বার্থ যদি সমুন্নত থাকে, যদি আমি এসব অক্ষুণœ রেখে চুক্তি করি, অসুবিধা কী? প্রতিরক্ষা যদি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হয়Ñ সে চুক্তিও আমি করব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আমাদের নীতিগত দিক থেকে আমাদের স্বার্থের প্রশ্নে হিমালয়ের মতো। বাংলাদেশের স্বার্থ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার আগে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেÑ শেখ হাসিনা কখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী কোন চুক্তি কারও সঙ্গে করবেন না। বিএনপির সমালোচনায় কাদের বলেন, তারা সবসময় কর্মসূচীর হুমকি দিলেও তাদের কর্মসূচীর সঙ্গে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। গত আট বছর তো দেখলাম, এই বছর না ওই বছর, রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদÑ দেখলাম না তো কোন আন্দোলনে তারা সফল হয়েছে। তারা কিছু করতে পারবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, গঙ্গা চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় যেহেতু হয়েছে সেহেতু তিস্তা নিয়েও তিনি আশাবাদী। তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে, আরও হবে। এটা ম্যাটার অব টাইম। এটা এমনও হতে পারে এখন না হয়ে কিছুদিন পরেও হতে পারে। তাদেরও (ভারতের) কিছু অভ্যন্তরীণ ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি যথেষ্ট হয়েছে। চুক্তি সম্পাদন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, তিস্তার বিষয়ে মমতা ব্যানার্জীর অবস্থান যে আগের মতোই থাকবে তা তো নয়। আমি মনে করি, সবকিছুই সম্ভব হতে পারে। আমরা আশাবাদী ভাল কিছু করার। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার পর থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। জাপানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থায়ন, সে দেশের শ্রমিকসহ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে থাকা ও নিরাপত্তাজনিত জটিলতা কাটতে শুরু করেছে। আমরা এখন অনেকটা আশাবাদী। বিদেশী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করেছেন। আশা করি, আর কোন জটিলতা হবে না।
×