ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ২০ মার্চ ২০১৭

প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল, ১৮ মার্চ ॥ ভূঞাপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণী পরিবর্তন, জাল কাগজপত্র তৈরি করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার তথ্য বেরিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের এক অনুসন্ধানে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও বিএনপির নেতা। সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ মিন্টু দীর্ঘদিন যাবত অফিস কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও জাল কাগজ তৈরি করে বছরে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। গত ১৪/৮/১৬ তারিখের বাহাদীপুর মৌজার ১৯১৪ নং দলিলে ২০ শতাংশ জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে সাবকবলা দলিল করে। যার প্রকৃত মূল্য ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’ টাকা। জমির শ্রেণী বাড়ি পরিবর্তন করে নামা শ্রেণীর জাল পড়চা তৈরি করে দলিল মূল্য তুলেছেন ২ লাখ টাকা। যা ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। ৭/৮/১৬ তারিখে ভূঞাপুর মৌজায় ১৮০৮ নং দলিলে ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ৩০৭ টাকার পরিবর্তে ১১ লাখ ১৫ হাজার, ১৮০৯ নং দলিলে ২৩ লাখ ৯ হাজার ৬শ’ ৭০ টাকার পরিবর্তে ৮ লাখ ৮০ হাজার, ২৮/৮/১৬ তারিখে ২০৩২ নং দলিলে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ২শ’ ৩০ টাকার পরিবর্তে ১ লাখ ৩০ হাজার, ২৫/৯/২০১৬ তারিখে ২২০৮ নং দলিলে ১৭ লাখ ৩২ হাজার ২শ’ ৫২ টাকার পরিবর্তে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্য ধরে দলিল সম্পাদন করেন। যা এক মাসে শুধু পৌরসভার মধ্যে একজন দলিল লেখক ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ১শ’ ৫৯ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেন। শুধু পৌরসভা নয় একইভাবে উপজেলা সব কয়টি ইউনিয়নের জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে দলিল মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। এ বিষয়ে ভূঞাপুর সাব রেজিস্টার ও দলিল লেখক সমিতির কেউ মুখ খুলছেন না। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে।
×