ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ের আমদানিকারকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করুন

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৩ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করুন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হংকং সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ^মানের পণ্য তৈরি করে রফতানি করছে। উন্নত দেশের চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশ পণ্য সুনামের সাথে রফতানি করছে। বিশ^বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। এই উন্নতমানের পণ্য আমদানির জন্য মন্ত্রী হংকংয়ের আমদানিকারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মন্ত্রী গত বুধবার রাতে হংকংয়ের হোটেল হলিডে ইনের ক্রিস্টাল বল রুমে ‘বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকংয়ের’ যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সাত কোটির বেশি কর্মক্ষম জনশক্তি রয়েছে, এদের বয়স গড়ে ২৫ বছরের মধ্যে। বাংলাদেশে কম মজুরিতে দক্ষ জনবল পাওয়া সম্ভব, পরিবহনে খরচ কম, দেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষিত তরুণরা বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ভাল। মন্ত্রী বলেন, সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। উজ্জ্বল সম্ভবনা দেখেই বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। সরকার রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন পণ্য রফতানি ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। দেশে এখন অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এক্ষেত্রে সরকার বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য হংকংয়ে জনপ্রিয় হবে সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ভূমিকা পালন করতে হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের যে সকল ব্যবসায়ী হংকংয়ে অবস্থান করছেন ব্যবসা প্রসারে তাদের দায়িত্ব অনেক। বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকংয়ের মাধ্যমে এখানে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ^াস করি। বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চমৎকার, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হব। আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করব। বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বিদেশীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অবাক হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের স্বাধীনতা এবং দেশেকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন, আজ তারই কন্যা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করছেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। তার আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশ হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল এবং স্বাভাবিক। গুলশানের হলি আর্টিজানের অপ্রত্যাশিত যে ঘটনা ঘটেছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষতার সাথে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে, দেশে-বিদেশে তা প্রশংসিত হয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে এখন বাংলাদেশে কোন ধরনের সমস্যা নেই। প্রচুর বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। হংকংয়ের বিনিয়োগকারীরাও এ সুযোগ নেবেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নবগঠিত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকংয়ের প্রেসিডেন্ট একরাম খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হংকংয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ফর কমার্স এ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট গুলফ্রে লিয়ং কিং কুয়োক, হংকংয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সারওয়ার এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকংয়ের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
×