ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা নজরদারিতে

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা নজরদারিতে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এরা যাতে জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সে লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ আমাদের বার্নিং ইস্যু ছিল, সেটা এখন আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অনির্ধারিতভাবে দীর্ঘদিন এ্যাবসেন্ট (অনুপস্থিত) সেটা এখনও তদন্তাধীন, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। অন্য যেসব বিষয় তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) নলেজে বা যেসব ধারণা দেয়া হচ্ছে, সেসব বিষয়ও তারা নজরদারি রাখছে, যাতে ভবিষ্যতে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি হতে না পারে। সে বিষয়ে তারা বিশেষ সজাগ ও সচেষ্ট রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আগের অন্যান্য মাসের চেয়ে এ কয় মাসে অনেক উন্নতি লাভ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি ৬ হাজার ৮০৬টি মামলার মাধ্যমে ৮ হাজার ৫৬১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে মামলাও রুজু করা হয়েছে। তাদের বিচার কাজ চলছে, তারা জেলখানায় আছে। প্রত্যেকটি সংস্থার মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল সেগুলো অব্যাহত রাখা এবং আরও জোরদার করা যাতে এটা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেজন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে চাঁদাবাজ, পেশাদার সন্ত্রাসী ও দস্যুদের বিশেষ নজরদারিতে আনা হচ্ছে। সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা ও কারণ নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি এগুলো সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। মাদক প্রতিরোধে গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, যখন যে এলাকায় মাদকের শক্ত লোক ধরা পড়ে তার ছবিটা ভাল করে প্রকাশ করে প্রচার করুন, যাতে তারা একটা ধিকৃত অবস্থায় পরিণত হয়। ধিকৃত অবস্থায় আসলে ভবিষ্যতে অনেকে চিন্তায় পড়ে যাবে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যারা এগুলো করে ধরা পড়লে তাদেরটা বেশি প্রকাশ করা হলে ছাত্র সমাজে একটা ‘এফেক্ট’ হবে। ফলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
×