ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বীকারোক্তি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

হাফিজ সাঈদ পাকিস্তানের প্রতি গুরুতর হুমকি

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

হাফিজ সাঈদ পাকিস্তানের প্রতি গুরুতর হুমকি

পাকিস্তানের জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদ দেশের প্রতি গুরুতর হুমকির কারণ হতে পারেন এবং সে জন্য তাকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই গৃহান্তরীণ করা হয়েছে। হাফিজ সাঈদ যে বিপদের সৃষ্টি করছেন, তা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জার্মানির মিউনিখে এক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে স্বীকার করেছেন। জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার হোতা ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক রয়েছেন। খবর পিটিআইয়ের। রবিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শ্রোতাদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, হাফিজ সাঈদ সমাজের প্রতি এক গুরুতর হুমকির সৃষ্টি করতে পারেন। দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। নেশন পত্রিকায় এ খবর বেরোয়। হাফিজ সাঈদকে ৩০ জানুয়ারি লাহোরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গৃহান্তরীণ করা হলে তার সন্ত্রাসী দল ও এর মিত্ররা প্রচ- ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। সাঈদের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা থেকে দেখা যায় যে, তিনি কোন কোনভাবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। এ মাসের প্রথম দিকে হাফিজ সাঈদের নাম এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে যোগ করা হয়। এর ফলে তার দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলো। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এক প্যানেল আলোচনায় আসিফ বলেন, সন্ত্রাসবাদ কোন ধর্মেরই সমর্থক নয়। সন্ত্রাসীরা খ্রীস্টান বা মুসলমান বা বৌদ্ধ বা হিন্দু নয়। তারা সন্ত্রাসী, তারা অপরাধী। চলতি মাসে পাকিস্তানে অন্তত আটটি সন্ত্রাসী হামলায় ১০০-এর বেশি লোক নিহত হওয়ার পর হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেয়া হয়। এদের মধ্যে সর্বশেষটি ছিল সিন্ধু প্রদেশের এক প্রষিদ্ধ সুফি ধর্মীয় স্থানে পরিচালিত এক আত্মঘাতী হামলা এবং এতে ৮৮ ব্যক্তি নিহত হয়। ভারতের মুম্বাই শহরে ২০০৮ সালের নবেম্বরে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর হাফিজ সাঈদকে গৃহান্তরীণ করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে এক আদালত তাকে মুক্তি দেয়। সন্ত্রাসী তৎপরতায় তার ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। এদিকে, জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) প্রধান হাফিজ সাঈদ ও অন্য চারজন তাদের গৃহান্তরীণের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সর্দার মোহাম্মদ শামিন খানের এজলাশে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। হাফিজ সাঈদ, মালিক জাফর ইকবাল, আবদুর রহমান আবিদ, কাজী কাশিফ হোসেইন এবং আবদুল্লাহ ওবায়েদ সিনিয়র এ্যাডভোকেট এ কে, ডোগারের মাধ্যমে তাদের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করেন। সাঈদ ও অন্য চারজন তাদের আবেদনে বলেন যে, সরকার ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের আলোকে ৩০ জানুয়ারি থেকে ৯০ দিনের জন্য তাদের আটক করে।
×