ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণাত্মক মূলধনধারী হিসাবে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত লেনদেন চলবে

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঋণাত্মক মূলধনধারী হিসাবে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত লেনদেন চলবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত পুঁজিবাজারে ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগ হিসাবে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্জিন রুলসের ৬ মাস স্থগিত আদেশের হিসাব শুরু হয়েছে। এ আদেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা আগামী পরবর্তী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুসারে, কোন বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ওই হিসাবে শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ২০১০ সালের ধস পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েক দফা ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নতুন করে স্থগিতাদেশের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন বৈঠকে ওই ধারাটির কার্যকারিতা ৬ মাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তার আলোকে গত রবিবার বিএসইসি আলোচিত আদেশটি জারি করে। উল্লেখ, মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুসারে ঋণাত্মক মূলধনধারী হিসাবে গ্রাহক নিজে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন না। কেবল ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের হিসাবের শেয়ার বিক্রি করে তার ঋণ সমন্বয় করে নিতে পারে। ২০১০ সালের ধসের পর বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএসইসি আলোচিত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটির কার্যকারিতা কয়েক দফা স্থগিত করে। সর্বশেষ স্থগিতাদেশের মেয়াদ গত ৩১ জানুয়ারি শেষ হয়ে যায়। উল্লেখ, মার্জিন ঋণ হচ্ছে বিশেষ ধরনের ঋণ সুবিধা। শেয়ার কেনার জন্য ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহককে এই ঋণ দিয়ে থাকে। বিএসইসি প্রণীত মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর আওতায় এই ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০১০ সালের পর থেকে টানা দর পতনে অসংখ্য মার্জিন এ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারীর মূলধন ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ওই সব এ্যাকাউন্টে থাকা শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম এমন জায়গায় নেমে আসে যে, অনেক ক্ষেত্রে তা বিনিয়োগকারীর নিজস্ব মূলধনের কমে যায়। আইন অনুসারে এমন এ্যাকাউন্টে লেনদেন নিষিদ্ধ। ১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোন বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তার কাছে নতুন করে মার্জিন চাইবে। এই মার্জিনের পরিমাণ এমন হবে যাতে তার ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের উপরে থাকে। নোটিশ দেয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে পর্যাপ্ত মার্জিন জমা দেয়া না হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে নতুন কোন লেনদেনের অনুমতি দিতে পারবে না ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান। এর আগে প্রতিবার মার্জিন রুলসের ৩(৫) উপ-ধারা পুরোটা স্থগিত করা হলেও এবার তা আংশিক স্থগিত করা হয়েছে। উপধারার একটি অংশ স্থগিত না করায় নেগেটিভ ইক্যুইটির গ্রাহকদের কাছে নতুন করে মার্জিন (টাকা) চাইতে হবে সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া আলোচিত আদেশ অনুসারে, এখন থেকে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ঋণাত্মক মূলধনধারী হিসাবের বিস্তারিত বিবরণসহ মাসিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। স্টক এক্সচেঞ্জ ওই প্রতিবেদন বিএসইসিতে পাঠাবে। পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আগের মাসের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
×