ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্লাইওভার নির্মাণে চট্টগ্রামে যানজট

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ফ্লাইওভার নির্মাণে চট্টগ্রামে যানজট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একেতো ফ্লাইওভারের পরিকল্পনাহীন নির্মাণ কাজ, তার সাথে কাজের ধীর গতি। আর দুয়ে মিলে সৃষ্ট যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের আর মাত্র চার মাস বাকি থাকলেও বর্তমানে ৬০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। ফলে গত আড়াই বছর ধরে যানজটে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নগরীর বায়েজীদ এলাকার মেয়র গলি থেকে ষোলশহর দু’নম্বর গেটের দূরত্ব আধ কিলোমিটারের কম। কিন্তু যানজটের কবলে পড়ে সামান্য এ পথ অতিক্রম করতে যে কোনো যানবাহনকে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আর এ অসহনীয় যানজটের মূল কারণ নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার। ২০১৪ সালের নবেম্বর মাস থেকে শুরু হয় এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে বারবার কাজের গতি স্বাভাবিকতা হারাচ্ছে। নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, একটা কাজ শেষ হওয়ার পর আবার আরেকটা কাজ শুরু হবে। তখন আবার ভোগান্তি শুরু হবে। ফ্লাইওভার নির্মাণে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দীর্ঘ পথে দেয়া হয়েছে টিনের প্রতিবন্ধকতা। প্রধান সড়ক হয়ে পড়েছে সংকীর্ণ। এতে শুধু মেয়র গলি হয়ে ষোলশহর দু’নম্বর গেটেই নয়, জি ই সি মোড়, গরীব উল্লাহ শাহ মাজার এবং দামপাড়া এলাকাতেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধান সড়কের যানজট এড়াতে কিছু কিছু যানবাহন পার্শ্ববর্তী গলি-উপগলি ব্যবহার করায় প্রবর্তক মোড়, গোলপাহাড়, মেহেদীবাগ এলাকাতেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘ফ্লাইওভারের জন্য কোথাও যানজট হচ্ছে না। গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’ চলতি বছরের জুন মাসে ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এ ফ্লাইওভারে ষোলশহর দু’নম্বর গেটে দুটি, জি ই সি মোড়ে দু’টি এবং ওয়াসার মোড় এলাকায় আরো একটি লুপ রাখা হবে।
×