ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধ্রুব হাসান

‘ইন্ডিয়া’স মোস্ট বিউটিফুল ওম্যান’

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

‘ইন্ডিয়া’স মোস্ট বিউটিফুল ওম্যান’

মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুবর (১৯৯৭) ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এবং প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮) ছবিতে। তিনি সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে বনসালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কার কথা বলছি। ১৯৭৩ সালের ১ নবেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন এই বলিউড সুপারস্টার । তার বাবার নাম কৃষ্ণারাজ রাই, যিনি সমুদ্র জীববিজ্ঞানী এবং মায়ের নাম ব্রিন্দা রাই, যিনি লেখিকা। নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকভাবে অনেক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তার চাইতেও বড় কথা হলো প্রতিটি ছবিতেই নিজেকে শতভাগ মেলে ধরার চেষ্টা তাকে আলাদা করেছে অন্যদের তেকে। নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে অন্যরকম এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। অভিনয় ও সৌন্দর্য- এই দুইয়ের মিশেলে বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয় তাকে। বচ্চন পরিবারের বউ ঐশ্বর্য শুধু ভারতেই নন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার খ্যাতি রয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের হয়ে সর্বাধিকবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হলিউড ছবিতেও তার অভিষেক হয়েছে অনেক আগেই। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ধূম ২ (২০০৬)-তে। এই ছবিটা ছিল তার বলিউডের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য। পরবর্তী সময় তাকে গুরু (২০০৭) এবং যোধা আকবর (২০০৮) এ অভিনয় করতে দেখা যায়, যেগুলো ছিল অর্থনৈতিকভাবে সফল ছবি এবং এই ছবিগুলোতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিতও হন। এভাবে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তাঁর সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এক সময় বলিউডের রানীর সিংহাসনও দখল করেন তিনি। সেই ১৯৯৩ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তারপরে আরও অনেক সুন্দরীরা বিশ্ব মঞ্চে সুন্দরীর খেতাব জিতলেও, তাকেই মানা হয় এ যাবতকালের সেরা সুন্দরী নারী। আবারও প্রমাণিত হলো এই তথ্যটি। আরও একবার সকল নারীকে পেছনে ফেলে দর্শকদের ভোটে ‘ইন্ডিয়া’স মোস্ট বিউটিফুল ওম্যান’ অর্থাৎ ‘ভারতের সবচেয়ে সুন্দরী নারী’র খেতাব জিতলেন ঐশ্বরিয়া। ৪৩ বছর বয়সে এসে আরও একবার ফেমিনা প্রচ্ছদে গ্ল্যামার বাড়ালেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। মা হওয়ার পর শরীরে মেদ জমার কারণে নিন্দুকদের কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন এই নায়িকা। কিন্তু, কোন কিছুকেই পাত্তা না দিয়ে নিজের উপর আস্থা রেখেছেন। এই বছর দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া। তার অভিনীত ‘সরবজিত’ ও ‘এ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবি মুক্তি পায়, যা বেশ ব্যবসাসফল হয়।
×