ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রেমিটেন্সে সৌদি সরকার কোন ফি আরোপ করছে না

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

রেমিটেন্সে সৌদি সরকার কোন ফি আরোপ করছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে সৌদি সরকার কোনো ফি আরোপ করছে না বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশটি গত কয়েক মাস ধরে রেমিটেন্সে ৬ শতাংশ ফি আরোপ করার কথা ভাবছিল। সোমবার আরব নিউজের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল টুইটবার্তায় জানানো হয়েছে, সৌদি সরকার আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী মুদ্রা প্রবাহের অবাধ নীতিতে বিশ্বাসী। এর আগে উপদেষ্টা সূরা কাউন্সিল জানিয়েছিল, প্রবাসী রেমিটেন্সের ওপর ৬ শতাংশ ফি ধার্যের প্রস্তাবনা নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। এই ফি আরোপ করা হলে সৌদিতে থাকা বাংলাদেশী প্রবাসীদের রেমিটেন্স থেকেও ৬ শতাংশ অর্থ কেটে নেয়া হতো। সৌদির এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি বাসিন্দাই বিদেশী। এদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশী। মূলত গত দুই বছরে তেলের টানা দরপতনে মুখ থুবড়ে পড়ে সৌদির অর্থনীতি। নানা সংস্কার এনে সেই অবস্থা থেকে এখন টেনে উঠতে চাইছে দেশটি। আর এই সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রবাসীদের রেমিটেন্সে ফি ধার্য করা হচ্ছিল। জেনারেল অডিটিং ব্যুরোর (জিএবি) সাবেক প্রধান হুসাম আল-আনকারির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ওই প্রস্তাবনায় সৌদিতে বসবাসকারী প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ খরচ করতে উৎসাহিত করত। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের কৌশল নিয়ে আলোচনা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি শ্রেণী থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিতই বলা চলে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। ফলে বিষয়টি বর্তমানে সরকারের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ উত্তরণের প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করার কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আলোচনাও চলছে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গত রবিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে ‘বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কৌশল’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ২৭ জন জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ আলোচনায় অংশ নেন। ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ: বাংলাদেশ কি মসৃণ উত্তরণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। এরপর দলগত আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংলাপ ও যোগাযোগ পরিচালক মিজ আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×