ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি

বাউফলে পুলিশ ফাঁড়িতে আসামিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

বাউফলে পুলিশ ফাঁড়িতে আসামিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী, ১৬ জানুয়ারি ॥ বগা পুলিশ ফাঁড়িতে চেয়ারের সঙ্গে হ্যান্ডকাফ (হাতকড়া) লাগিয়ে আবদুস ছালাম হাওলাদার (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে তার স্বজনদের সামনে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ জসিম উদ্দিন ও পুলিশ কনস্টেবল মামুন ছালামকে নির্যাতন করে। জানা গেছে, মাধবপুর বাজারে সরকারী জমিতে দোকানঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেল্লাল হোসেন ওরফে উজ্জল চৌকিদার নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত একটি মিথ্যা মামলায় (বাউফল থানায় মামলা নং ১১ তারিখ ১১/১/১৭, ধারা ১৪৩, ৩৭৯, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৫৪, ৪২৭ ও ৫০৬ ) রবিবার দুপুর দুটার দিকে আবদুস ছালামকে মাধবপুর বাজার থেকে বগা ফাঁড়ি ইনচার্জ জসিম উদ্দিন গ্রেফতার করে । এরপর তাকে বাউফল থানায় না পাঠিয়ে বগা ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ছালামের স্বজনরা অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পর ইনচার্জ জসিম উদ্দিন তাদের কাছে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে নির্যাতন করা হবে বলে হুমকি দেন। সোমবার সকালে ছালামের স্বজনরা দু’হাজার টাকা নিয়ে বগা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ইনচার্জ জসিম উদ্দিনকে দেন। কম টাকা দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই টাকা ছুড়ে মারেন। এর পর তিনি ছালামের হাতে লাগানো হ্যান্ডকাপের অপর অংশটি একটি চেয়ারের সঙ্গে লাগিয়ে তাকে লাঠি দিয়ে কোমরের নিচের অংশে এলোপাতাড়ি পেটান। পরে তিনি কনস্টেবল মামুনকে ডেকে তার হাতে লাঠি দিয়ে ছালামকে পেটাতে নির্দেশ দেন। এ খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে বাউফল থেকে কয়েক সাংবাদিক বগা ফাঁড়িতে যান। এসময় ছালাম তার শরীরের নির্যাতনের চিহ্ন দেখান। জানা গেছে, সাংবাদিকরা চলে আসার পর ছালামকে পটুয়াখালী কোর্র্টে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ওসি আযম খান ফারুকী জানান, আবদুস ছালামের গ্রেফতারের খবরটি তাকে ফাঁড়ি ইনচার্জ জসিম উদ্দিন সন্ধ্যার দিকে জানিয়েছেন। এ সময় তিনি ছালামকে কোন রকম মারধর না করার জন্য বলেন। বগা ফাঁড়ির ইনচার্জ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একজন আসামিকে গ্রেফতারের পর ২৪ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে রাখা যায়। তাই আমি ছালামকে থানায় না পাঠিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আমার হেফাজতে রেখেছি। আবদুস ছালামকে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
×