ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিনেট কমিটিতে ট্রাম্প মনোনীত সিআইএ প্রধান

রাশিয়া, সিরিয়া, ইরান ও আইএস বড় হুমকি

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

রাশিয়া, সিরিয়া, ইরান ও আইএস বড় হুমকি

রাশিয়া, সিরিয়া, ইরান ও জঙ্গী গ্রুপ ইসলামিক স্টেটকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে মনোনীত কংগ্রেস সদস্য মাইক পম্পেও। পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে সিআইএ’র প্রধান হিসেবে বাছাই করেছেন। খবর পিটিআইর। পম্পেও মনে করেন যেসব দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসে মদদ দেয় ইরান তার মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। তার মতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এখন এক শক্তিশালী ও বিড়ম্বনা সৃষ্টিকারী পক্ষ হয়ে উঠেছে। ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অবশ্যই নিরপেক্ষ ও বাস্তবমুখী দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে চুক্তিটি পর্যালোচনা করা উচিত। সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক বাছাই কমিটিতে নিয়োগ চূড়ান্তকরণ শুনানিতে পম্পেও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত (ট্রাম্প) এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আইএসকে পরাজিত করার জন্য কাজ করে যাওয়া হবে আমার অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, ‘উগ্র ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে। সামরিক ও মানবিক উভয়দিক থেকেই এটি বিপর্যয় বয়ে আনছে। রাশিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশটির বিষয়ে সিআইএকে অবশ্যই প্রশাসনের কাছে সঠিক ও স্পষ্ট তথ্য তুলে ধরা উচিত। পম্পেও বলেন, ‘রাশিয়া ক্রমাগত আগ্রাসী আচরণ করছে। আগ্রাসন চালিয়ে দেশটি ইউক্রেন দখল করে নিয়েছে। এখন ইউরোপকে হুমকি দিচ্ছে। অন্যদিকে আইএসকে পরাস্ত করার জন্য কার্যত কিছুই করছে না। সিনেটের ওই শুনানিতে পম্পেও আইএস সম্পর্কে মন্তব্য করেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রকে যেসব হুমকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে তারমধ্যে সবচেয়ে বড় হুমকি এটি। তিনি সিরিয়াকে একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘২১ শতকের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, সিরিয়া যুদ্ধ উগ্রবাদ, গোষ্ঠী সংঘাত, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা উস্কে দিয়েছে। ইউরোপকেও এখন এর মাশুল গুনতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মহাদেশটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট সামাল দিতে হচ্ছে। সিরিয়া ও ইরাক থেকে উগ্রবাদে দীক্ষিত হয়ে বিদেশী যোদ্ধারা এখন দেশে ফিরে এসে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। চীন সম্পর্কে পম্পেও বলেন, দেশটি দক্ষিণ চীন সাগরে সীমান্ত বিরোধ তৈরিসহ সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করছে। পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ে উচ্চাভিলাষ থাকার জন্য তিনি উত্তর কোরিয়ারও সমালোচনা করেন। ৫২ বছর বয়সী পম্পেও প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য। তিনি ২০১০ সালে প্রথম কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে মনে করা হয়। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সবসময় তার বিরোধিতায় উচ্চকণ্ঠ রয়েছে। রাশিয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে তার কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
×