ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণে মিথ্যা তথ্য

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রাথমিক বৃত্তির ফল জালিয়াতির পর বরিশালে বদলি। সেখান থেকে আবার ফিরে রাজশাহীতে বহাল তবিয়তে থাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আসিফ উজ জামান স্বাক্ষরিত আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় শিক্ষা অফিস। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিজের নামে নেয়া প্লট সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় এবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর অভিজাত পদ্মা আবাসিক এলাকার মহানন্দা প্রকল্পে তিনি নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নেন। ওই প্লটে তিনি ১০তলা বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করছেন। তবে ২০১৬ সালের ১০ নবেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় ব্যক্তিগত শুনানিকালে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন প্লটটি তার পিতার নামে বরাদ্দ। কিন্তু পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দলের কাছে নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নেয়ার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া ১০ তলা ভবন নির্মাণে সরকারের কোন অনুমতি নেননি। এসব অসদাচরণের জন্য তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল জালিয়াতির ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাসেমকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত ও পরে বরিশালে বদলি করা হয়। তবে অদৃশ্য খুঁটির জোরে আবারও সেখান থেকে ফিরে আসেন রাজশাহীতে। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, হয়ত তার কোন ত্রুটি ছিল এ কারণে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের পর তিনি বাসায় অবস্থান করছেন জানিয়ে এ বিষয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি। শেরপুরে শিশু ধর্ষিত ॥ ধর্ষক হাজতে নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২ জানুয়ারি ॥ শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ম-ল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই দিন জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দী গৃহীত হয়েছে। জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের রৌহা পূর্বপাড়া গ্রামের ১১ বছর বয়সী ওই শিশু দুগ্ধপোষ্য এক শিশুকে কোলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কালু মিয়ার ছেলে ম-ল মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই সময় ম-ল মিয়ার স্ত্রী গুলনাহার বেগম ওই শিশুর কোলের শিশুকে নিয়ে তাকে তার ঘর থেকে পান আনতে বলে। আর ওই সুযোগে লম্পট ম-ল মিয়া ঘরে ঢুকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা শিশু বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে । পরদিন রবিবার তার মা বাদী হয়ে ধর্ষক ম-ল মিয়া ও তার স্ত্রী গুলনাহারকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রবিবার রাতেই প্রধান আসামি ম-ল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
×