ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে কারও স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দেশে একজন এমপিও নিরাপদ নয়। জনগণের যে কি ভয়ঙ্কর অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে তার বড় প্রমাণ হচ্ছে গাইবান্ধার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকা-। তিনি অভিযোগ করেন, জনবিরোধী সরকারের দেশ কিভাবে নিরাপদ থাকবে। সোমবার ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। বলেন, সরকারের প্রশ্রয়ের কারণে দুর্বৃত্তরা আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর সরকার সব সময় দায় অন্যের ওপর চাপাতে চায়। আজকে যেমন একজন এমপি নিরাপদ নন। সাধারণ মানুষও নিরাপদ নয়। এদেশের মানুষের আজ স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চিয়তা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে দলীয় স্বার্থে। এ কারণে সংসদ সদস্যরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ সময় তিনি সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর নিশ্চিয়তা দাবি করে বলেন, কয়েকটি কারণে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। আর এর মূল কারণ হলো, পুলিশকে সরকার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। সরকার তাদের অপকর্মকে সব সময় অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। এটা তাদের স্বভাব। এতে সত্য কখনও চাপা থাকে না। সরকার বিরোধী দলকে দমন করছে। ছাত্রদের তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দিচ্ছে না। আজকে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য ছাত্রদল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছে উল্লেখ করেন। গত শনিবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে সংসদ সদস্য লিটনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ক্ষমতাসীন দলের অভিযোগ, লিটন হত্যায় বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী জড়িত। সরকারের এ অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের দুর্বলতার কারণে এমপি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ হত্যাকা-ের শিকার হচ্ছে। সরকার বরাবরই নিজেদের অপকর্মগুকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে তারা ফায়দা লুটতে চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার আমাদের কখনই শান্তিতে কাজ করতে দেয়নি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও ছাত্রদলকে শান্তি মতো কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। যাকেতাকে যখনতখন ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ নিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে, তারেক রহমানের পরামর্শে লড়াই করে যাবে ছাত্রদল। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, নাজমুল হাসান প্রমুখ।
×