ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সচিবালয়ের নির্দেশিকা মানার বালাই নেই

আবারও ফাইলের স্তূপ মন্ত্রণালয়ে, স্থবির হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

আবারও ফাইলের স্তূপ মন্ত্রণালয়ে, স্থবির হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্র

তপন বিশ্বাস ॥ মন্ত্রণালয়ে আবারও জমছে ফাইলের স্তূপ। কাজের গতি হারাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে স্থবির হয়ে পড়ছে প্রশাসন যন্ত্র। সচিবালয়ের নির্দেশিকা মানার বালাই নেই। ইতোপূর্বে জারি করা চার্টার একাউন্ট পরিণত হয়েছে কাগুজে নির্দেশনায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় ও অন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় না থাকায়ও মন্ত্রণালয়ের কাজ কর্মে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে। এর দায়-দায়িত্ব মন্ত্রিসভা তথা সরকারের ওপর বর্তাচ্ছে। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান জনকণ্ঠকে বলেছিলেন, প্রশাসনকে গতিশীল করতে এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তবে গতিশীল করতে হলে সবার আগে দরকার প্রশাসনিক সংস্কার। সংস্কার ছাড়া প্রশাসনকে গতিশীল করা কঠিন। তিনি বলেন, প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্তঃগত এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করলেও প্রশাসন অনেকটা গতিশীল হতো। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রশাসনকে গতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরুতেই সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশসনকে গতিশীল করতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রশাসনকে গতিশীল করতে সচিবদের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হয়। সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে কয়েকদিন ফাইল একটু গতিতে চললেও অল্প দিনে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। ইতোপূর্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি করতে সচিবদের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অধস্তন অফিসগুলোতেও সচিবালয় নির্দেশমালার অনুরূপ সময়সীমার মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের এই নির্দেশের পরও সচিবালয়ে নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। নির্দেশনা অনুযায়ী ফাইল নিষ্পত্তি হচ্ছেই না। আলাপ করুণ কালচারে ফাইল ঘুরছে মাসের পর মাস। কেউ যেন দায়িত্ব নিতে চান না। যে ফাইল যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে নিষ্পত্তি হওয়ার যোগ্য তা পাঠানো হচ্ছে সচিবের কাছে। আবার সচিবের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতাসম্পন্ন ফাইল পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রীর দফতরে। কোন কোন ক্ষেত্রে মন্ত্রীরাও দায়িত্ব এড়াতে ফাইল পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এতে কোন কোন সচিবকে দিনে দেড় থেকে দুই শত ফাইলও স্বাক্ষর করতে হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশ দিলেও তা পর্যবেক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনকে গতিশীল করতে জনপ্রশাসন সচিবকে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করার বিধান থাকলেও তা করা হয় না। ইতোপূর্বে জনপ্রশাসন সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতেন। সেখানে কোন মন্ত্রণালয়ের কত ফাইল কী কারণে নিষ্পত্তি হয়নি বা হচ্ছে না তা উল্লেখ করা হতো। এছাড়া অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকলেও তা ওই বৈঠকে জানানো হতো। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম-সচিবকে বা কর্মকর্তাকে এর যথার্থ কারণ উল্লেখ করতে হতো। এতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন থাকতেন। প্রতিমাসে জনপ্রশাসন সচিবের সভাপতিত্বে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হতো। এতে কাজের গতি বৃদ্ধি পেত। বর্তমানে এ জাতীয় পদক্ষেপ না থাকায় ফাইলের স্তূপ জমছে সর্বত্র। সর্বত্রই যেন গা ছাড়া ভাব। অভিযোগ আছে শীর্ষ কর্মকর্তারা ডাক ফাইলও পড়েন না। ফাইল স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে কোন কোন সচিব তার একান্ত সচিব নির্ভর হয়ে পড়েছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকার পরও চাকরি শেষে পেনশনের ফাইল আটকে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফ্ফার কুতুবীর। মহান মুক্তিযুদ্ধে মেহেরপুর মহকুমা কমান্ডারের হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই মুক্তিযোদ্ধা যুব উন্নয়নের সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসরে যান ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু এখনও তিনি পেনশন পাননি। মিথ্যা অযুহাত খাড়া করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এনিয়ে সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব এমনকি সংশ্লিষ্ট শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তার (মহিলা) কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছরেও এই ফাইলের সমাধান দেননি কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে আব্দুল গাফ্ফার কুতুবী জনকণ্ঠকে বলেন, সংশ্লিষ্ট শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আফরোজা কিছু টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় ফাইলটি আটকে দেয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী কিছু কর্মকর্তা আমার এই ফাইল ছল চাতুরি করে আটকে রেখেছেন। নতুন করে আওয়ামী লীগ দায়িত্ব গ্রহণের পরও প্রশাসনকে গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা প্রায় ৪০ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার পরও সেভাবে গতি ফিরে আসেনি প্রশাসনে। কাজের ধাঁচ একই রকম রয়ে গেছে। বরং কর্মকর্তারা এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ পেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন কেউ কেউ মন্ত্রীকে খুশি রাখতে ব্যস্ত থাকি। আবার কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ পাওয়া যায়, কি করলে তিনি খুশি হবেন এটা নিয়েও বেশি ব্যস্ত থাকি। কেউ দায়িত্ব নিয়ে দেশের কাজ করতে চাই না। এসব করে অনেকে ভাল পদায়নও পেয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন। সরকার যদি যোগ্যতার ভিত্তিতে ভাল পদায়ন করত তা হলে এই ধামাধরা আমলাতন্ত্র থেকে অনেকটা পরিত্রাণ পাওয়া যেত। এছাড়া একবার কেউ প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বনে গেলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তার সমর্থক গড়ে তোলেন। তারা (সমর্থকরা) নানা অনিয়ন, দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যান এই সব ক্ষমতাবান কর্মকর্তার বদৌলতে। এসব কারণেও প্রশাসন গতি হারাচ্ছে। হতাশ হয়ে পড়ছেন দক্ষ, যোগ্য অনেক কর্মকর্তা। ফাইল জটের কারণে প্রশাসন ক্রমান্বয়ে স্থবির হয়ে পড়ছে। আর এর দায়-দায়িত্ব বর্তাচ্ছে মন্ত্রিসভা তথা সরকারের ওপর। সংবিধানের ৫৫ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে সরকারের কাজের জন্য মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের কাছে দায়ী থাকবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ভেদে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়া রয়েছে। ১৯৮০ সালে প্রণীত এই ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়া আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা তা অনুসরণ করেন না। ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষমতা থাকলেও দায়িত্ব এড়াতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফাইল সচিব, মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়ে থাকে। এমন এমএলএসএস ও সমপর্যায়ের কর্মচারীদের অন্য সেকশনে বদলি করার ফাইলও সচিব বা মন্ত্রী পর্যায়ের পাঠানোর ঘটনা ঘটছে। যা সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ নিয়ে কোন ঝামেলা বা মামলা মোকাবেলা করতে না হয় সে উদ্দেশে কর্মকর্তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান। এ জাতীয় কাজ করতে গিয়ে সচিব ও মন্ত্রীদের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তকে ব্যাহত করছে। এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় না থাকায় ফাইল জটের অন্যতম কারণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর খবরদারি দেখানোর মনোভাব প্রকাশ করে। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও অন্য মন্ত্রণালয়কে ছাড় দেয় না। তেমনি কোন কোন ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়েরও শরণাপন্ন হতে হয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে। সে ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও তাদের দেখানোর চেষ্টা করেন। এ সব কারণেও ফাইল ধীর গতি হয়ে যায়। বিধান অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় সব মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুমোদন করে থাকে। আবার বিধানে রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুমোদন করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের বাজেট নিজেরাই অনুমোদন করে থাকে। বাজেট অনুমোদনের জন্য তারা জনপ্রশাসনের অনুমোদনের প্রয়োজন মনে করে না। সম্প্রতি সাধারণ ফাইলেও জরুরী বা অতিজরুরী লেখা থাকে হরহামেশা। তাই জরুরী অতি জরুরী ফাইলেরও গুরুত্ব কমে এসেছে। সে ক্ষেত্রে অতিজরুরী ফাইলের ক্ষেত্রে আবার তদ্বির করা হয়। এদিকে অপ্রয়োজনেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠালে সেখানের কর্মকর্তারা তা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন না। বরং তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা উপস্থাপন করেন অনুমোদনের জন্য। কোন কোন কর্মকর্তা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যারা রয়েছেন তারা মনে করেন আমরা সুপার মিনিস্ট্র্রি। বরং তাদের কাছে ফাইল না গেলে তারা মনক্ষব্ধ হন। ফাইলের স্তূপের জন্য আরও নানাবিধ কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) প্রণয়নের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদের। এর কোন ধারার জন্য মতামতের জন্য বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মতামতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তা পরিবর্তন করে আইএমইডিকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাপক সজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। চেনা মুখ বা পছন্দের কর্মকর্তাদের দেয়া হয় অধিকাংশ প্রশিক্ষণ। এ ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্র বিবেচনা করা হয় না। দেখা যাচ্ছে পরিবেশ বিষয়ক প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে। প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগ দেয়া হয় অন্য মন্ত্রণালয়ে। এতে এ জাতীয় প্রশিক্ষণ কোন কাজে আসে না। কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি নিয়ে এত ব্যস্ত যে তারা অন্য কিছু করার বা দেখার সুযোগ পায় না। ডিজিটাল যুগে এসেও ব্রিটিশ আমলের ধ্যান ধারণা থেকে তারা আজও বের হতে পারেনি। এখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় স্টেনো গ্রাফার, স্টেনো টাইপিস্ট, মুদ্রক্ষারিক পদে লোক নিয়োগের জন্য। অথচ এ জাতীয় যন্ত্রপাতি এখন কোন অফিসেই নেই। টাইপ মেশিনের পরিবর্তে এখন অফিসে এসেছে কম্পিউটার। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখনও পর্যন্ত এই পদগুলোর না পরিবর্তন করে আধুনিক নাম দিতে পারেনি। অথচ তারা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের কাজে ব্যস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাম পরিবর্তন হলে তো আর দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে না। নাম পরিবর্তন না করে বরং কর্মকর্তাদের মোডিফিকেশন করলে তাতে লাভ হতে পারে।
×