ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের ধান বুঝে নিল সাঁওতালরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের ধান বুঝে নিল সাঁওতালরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৫ নবেম্বর ॥ হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে অবশেষে গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের সাঁওতালদের রোপণ করা জমির কর্তন করা ধান সাঁওতালরা গ্রহণ করেছে। ইতোপূর্বে প্রশাসন ও মিল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কাঁটাতারের বেড়া সরানো ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের শর্তারোপ করে ওই ধান নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ২৬ বস্তা ধান কর্তন করতে সক্ষম হয়। পরে মাদারপুর পরগনার ম-ল বার্নাবাস টুডুর নেতৃত্বে¡ আদিবাসী সাঁওতালদের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসে প্রশাসন ও মিল কর্তৃপক্ষকে জানায়, তারা ধান নিতে আগ্রহী। সাঁওতাল নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তারা এই ধান নিতে আগ্রহী হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ফলে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের উপস্থিতিতে সাঁওতালদের হাতে ২৬ বস্তা ধান তুলে দেয়া হয়। এছাড়া পরবর্তীতে তাদের রোপণকৃত ৪৫.৫০ একর জমির কর্তনকৃত সমুদয় ধান তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্বেচ্ছাশ্র্রমে মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ধান কর্তন ও আখ রোপণ ॥ রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা যৌথভাবে সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে শুক্রবার সকালে স্বেচ্ছাশ্রমে কাস্তে নিয়ে মেশিনের পাশাপাশি সাঁওতালদের রোপণকতৃ জমির ধান কর্তনে অংশ নেয়। পরে তারা সাঁওতালদের দখল থেকে উদ্ধার হওয়া জমিতে আখ রোপণ করে ২০১৬-২০১৭ আখ মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। স্বেচ্ছাশ্রমে আখ মৌসুমের উদ্বোধন করেন রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল আউয়াল, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল। স্বপন মুরমু লাপাত্তা ॥ সাঁওতালদের পক্ষে মামলা দায়েরকারী রামপুর মৌলিপাড়ার এলাকার বাসিন্দা স্বপন মুরমু কোথায় আছেন তা তার পরিবারের লোকজন জানে না। তার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সে ৮ দিন আগে বাড়ি থেকে কাজের কথা বলে বেরিয়ে যায়। সেই থেকে তার কোন খবর নেই। স্বপন মুরমুর বৃদ্ধ মা ঈষা রাণী হেমব্রম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, স্বপন নিরীহ গোছের মানুষ। তার কাজ ডালি, কুলাসহ বিভিন্ন বাঁশের জিনিস তৈরি করা। সে মামলা করেছে কিনা তা আমাদের জানা নেই।
×