ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ সময়ে ভোটের মাঠে মেলানিয়া ও ইভাঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৫ নভেম্বর ২০১৬

শেষ সময়ে ভোটের মাঠে মেলানিয়া ও ইভাঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকি। এই শেষ সময়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট চাইতে নেমেছেন তার স্ত্রী মেলানিয়া ও মেয়ে ইভাঙ্কা। বৃহস্পতিবার পেনসিলভেনিয়ায় প্রথম কোন নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেন মেলানিয়া। এদিকে প্রথমবারের মতো এদিন নিউ হ্যাম্পশায়ারে বাবার পক্ষে ভোট চাইতে যান ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা। খবর ইয়াহু নিউজের। ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ব্যবসায়ী ইভাঙ্কা নারীদের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নারীদের চাকরি হচ্ছে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা। নারীদের বিষয়গুলোই এখন এদেশের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এদিকে মেলানিয়া বলেছেন, তার স্বামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের হারানো ভাবমূর্তি আবার ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আমেরিকাকে আবার ‘মহান’ করে তুলবেন। মেলানিয়া বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি আমেরিকাকে নিরাপদ করবেন। তিনি আমেরিকাকে সমৃদ্ধ করবেন। তিনি আমেরিকার জন্য সম্মান নিয়ে আসবেন। ভোটে জয়ের আশা প্রকাশ করে ট্রাম্পপতœী বলেন, ‘৮ নবেম্বর আমরা অবশ্যই জিতব এবং আমেরিকান হিসেবে আমরা একত্রিত হব। মতপার্থক্য থাকলেও আমরা পরস্পরকে শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব। মেলানিয়া বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সব আমেরিকানের সহায়তায় আমার স্বামীর উদ্যোগ এগিয়ে নিতে আমি সঙ্গে থাকব। বারউইনে এ সমাবেশে মেলানিয়া বলেন, তার স্বামী এমন একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছেন, যা সবার মধ্যে ‘অংশগ্রহণমূলক, অনুপ্রেরণা ও সম্পৃক্ততার’ অনুভূতি তৈরি করেছে। স্বামীকে একজন আদর্শ প্রার্থী হিসেবে অভিহিত করেন মডেল থেকে ধনকুবেরের স্ত্রী হওয়া মেলানিয়া। যখন কোন কারখানা বন্ধ হয়ে যায় তখন ‘খুব বিচলিত’ হয়ে পড়েন তিনি, আবার প্রতিদিন সকালে যখন অভিভাবকদের কাজের জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াতে দেখেন তখন ‘হতাশ’ হয়ে পড়েন তিনি। মেলানিয়া বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ প্রেসিডেন্ট হবেন। ফার্স্টলেডি হলে শিশুদের নির্যাতন ও অনলাইন ‘ট্রলিং’ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন মেলানিয়া। শিশুদের অনলাইনে উত্ত্যক্ত, উপহাস ও আক্রমণ ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন বলে জানান মেলানিয়া। মা হিসেবে ১০ বছরের ছেলে ব্যারনের সঙ্গে সব সময় থাকার কথা জানান তিনি। ছোট্ট এই ছেলের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানান তিনি। বলেন, আমি চাই, আমার ছোট্ট ছেলে জানুক যে, সে এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছে যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে মূল্য দেয়া হয়। সেøাভেনিয়ার একটি ছোট শহরে বেড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে ১০ বছরের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের কথা উল্লেখ করেন মেলানিয়া। কমিউনিস্ট শাসিত দেশে বেড়ে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ‘মর্নিং ইন আমেরিকা’ ভাষণ শুনে এদেশের প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়ার কথা জানান তিনি। মেলানিয়া বলেন, আমরা কী ধরনের দেশ চাই? সুরক্ষিত সীমান্তের একটি নিরাপদ দেশ আমরা চাই না? আমরা কি এমন একটি দেশ চাই না, যেখানে সবাই ন্যায়বিচার পাবে? ‘হ্যা’ সমস্বরে বলে ওঠে জনতা। প্রশ্নোত্তরের ঢংয়ে বক্তব্য চালিয়ে তিনি বলেন, আমরা কি এমন একটি দেশ চাই না যেখানে আমাদের সংবিধানের প্রতি সম্মান জানানো হবে? স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে মেলানিয়া বলেন, তিনি দেশকে ভালবাসেন এবং জানেন কিভাবে কাজগুলো করতে হয়। ...তিনি জানেন কিভাবে সত্যিকার পরিবর্তন আনতে হয়।
×