ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয় ওয়ানডে আজ

ভারত-নিউজিল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

ভারত-নিউজিল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার বিশ্রামে। ইনজুরিতে শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল। জ্বর-আক্রান্ত সুরেশ রায়না। মহেন্দ্র সিং ধোনির দল এরপরও ধর্মশালার প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে যেভাবে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করে, মনে হয়েছিল তৃতীয় সারির দল হলেও অসুবিধে নেই। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দিল্লীর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানে হারের পর বদলে গেছে স্বাগতিক শিবিরের আবহাওয়া। শনিবার এ রিপোর্ট লেখার সময় শেষ তিন ওয়ানডের জন্য দল ঘোষণা হয়নি, তবে স্থানীয় মিডিয়ার ইঙ্গিত অন্তত তিন থেকে পাঁচটি পরিবর্তন আসতে পারে! মোট কথা, এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে বাজি ধরতে যাচ্ছে ধোনি-বাহিনী। অন্যদিকে টেস্টে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়ার পর সফরে প্রথম জয় পেয়ে উজ্জীবিত কিউইরা। দিল্লীতে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পারফর্মার দলের বাইরে থাকা সত্ত্বেও প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের জয়টা ছিল একতরফা। কিউইদের ১৯০ রানে অলআউট করে বোলাররা পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন। ৩ উইকেট নিয়ে অভিষেকেই ম্যাচসেরা হারদিক পা-িয়া। স্পিনার অমিত মিশ্র ৩, কাদের যাদব ২ ও পেসার উমেশ যাদব নেন সমান সংখ্যক উইকেট। জবাবে ‘সুপার’ কোহলির অপরাজিত ৮৫ রানে ভর করে ৩৪তম ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ধোনির দল। কিন্তু দিল্লীর ম্যাচটা ছিল ইন্টারেস্টিং। দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে একাই দলকে ২৪২ রানের পুঁজি এনে দেন উইলিয়ামসন। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৮ রান করে আউট হন কিউই অধিনায়ক। টম লাথাম করেন ৪৬। জবাবে অতিথি পেস আক্রমণের মুখে এদিন শুরুতেই দিশেহারা হয়ে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং। ৭৩ রানে চতুর্থ ও ১৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে কাদের যাদব ৩৭ বলে ৪১ ও হারদিক পা-িয়া ৩২ বলে ৩৬ রানে ম্যাচটা ‘ক্লোজ’ করে তুলে ছিলেন। পেসার টিম সাউদি ৩, টেন্ট বোল্ট নেন ২ উইকেট। দুই শিকারে চমক দেখান ‘অকেশনাল’ মার্টিন গাপটিল। ভারত দলে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। দলে ফেরানো হতে পারে অভিজ্ঞ যুবরাজ সিং, প্রতিভাবান আমবাতি রাইডু, কুলদীপ যাদব ও যুবেন্দ্র চাহালদের! প্রাথমিক দলে এত পরিবর্তন এলে একাদশেও যে তার প্রভাব থাকবে, সেটি অনুমেয়। বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া সৈনিক যুবরাজ এখনও যে কোন সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। ২০১১’র বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডারের কথা আরেকবার ভাবতেই পারেন নির্বাচকরা। মুম্বাইর ডানহাতি হার্ডহিটার রাইডু গত কয়েক বছরই ভারতীয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চে। ওয়ানডেতে তার গড় ৫০Ñএর ওপরে। উত্তরপ্রদেশ স্পিনার কুলদীপ যে কেন সময় ঢুকে পড়তে পারেন, কারণ বর্তমান দলে কোন চায়নাম্যান বাঁহাতি সেøা-বোলার নেই। দুলীপ ট্রফিতেও চমৎকার পারফর্ম করেছেন। আর হরিয়ানা লেগস্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল সর্বশেষ জিম্বাবুইয়ে সফরের সময় দলে ছিলেন। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও বেশ ভাল পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান করুন নায়ারও জিম্বাবুয়ে সফরে ছিলেন, আইপিএল এবং পরবর্তী ঘরোয়া সব টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিক অনেকদিন ধরে আলোচিত এই ব্যাটসম্যান। দেখা যাক, এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে ভারত কেমন দল বেছে নেয়।
×