ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের জমি স্বামীর নামে রেজিস্ট্রি

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের জমি স্বামীর নামে রেজিস্ট্রি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধামিন নওগাঁ গ্রামের একদল উদ্যমী মানুষ চেয়েছিলেন গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হোক। সেই জন্য তারা জমিও দান করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে সেই স্কুলের ঘরের টিন, বাঁশ, খুঁটি সব উধাও। পরে তারা জানলেন, যে জমি তারা স্কুলের নামে দান করেছিলেন, তা স্বামীর নামে রেজিস্ট্রি করেছিলেন সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বুধবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন জমিদাতাসহ এলাকাবাসী। তারা জানান, ১৯৯৮ সালে মোহনপুর উপজেলার ধামিন নওগাঁ গ্রামের কয়েকজন মানুষ গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী জমিও দান করেন। ১৯৯৯ সালে শুরু হয় স্কুলে পাঠদান। হঠাৎ করে স্থানীয়রা দেখতে পান এক এক করে স্কুলের টিন, বাঁশ, খুঁটি সরিয়ে নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বাসরীর স্বামী শফিকুল ইসলাম। এরপর ২০০৫ সালে স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। স্কুলের জন্য জমিদাতা নায়েব আলী ও সাহেব আলী জানান, স্কুল বন্ধ হওয়ার পর এলাকার মানুষ জানতে পারেন, স্কুলের নামে থাকা জমি প্রধান শিক্ষক তার স্বামীর নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। জমি রেজিস্ট্রি করতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে সদস্যদের স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কাশেম ও জিয়াউর রহমান অভিযোগ করেন, তারা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য কোন রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বাসরীর স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন। কাউকে কম টাকা দেননি। তার দাখিল করা রেজুলেশনের স্বাক্ষরগুলো সঠিক বলে দাবি করেন তিনি। যদিও কোন প্রমাণপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, এমন জালিয়াতির ঘটনায় তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
×