ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢামেকে সুইপারের ইনজেকশনে রোগীর মৃত্যুতে সংসদে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঢামেকে সুইপারের  ইনজেকশনে  রোগীর মৃত্যুতে  সংসদে ক্ষোভ

সংসদ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুইপারের ইনজেকশনে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় সংসদে ক্ষোভ ঝারলেন স্বতস্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী। তিনি এ ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বলেন, এ ধরনের অবজ্ঞা ও নিষ্ঠুর আচরণ চলতে পারে না। এ জন্য দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিদের বিচার করতে হবে। অপর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী এবারে ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল থামাতে ব্যর্থতায় সেতুমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদ অধিবেশনে রাতে পয়েন্ট অব অর্ডারে তাঁরা এসব কথা বলেন। সরকারী হাসপাতালগুলোতে চলমান নৈরাজ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ঢাকা মেডিক্যালে এক রোগী ভর্তি হলো। কিন্তু ডাক্তার চিকিৎসা দেয়ার আগেই হাসপাতালের সুইপার তাকে ইনজেকশন দিল। পরে তিনি মারা গেলেন। এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাসপাতালের পরিচালক কী করেন? মহাপরিচালক কী করেন? আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষ একজন মন্ত্রী। কিন্তু তাঁর অধীনে যারা কাজ করেন তারা ঠিকভাবে কাজ করছেন না। তিনি বলেন, হাসপাতালে এ ধরনের নৈরাজ্য চলতে পারে না। হাসপাতালে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করবেন। তার পরিবর্তে যদি যার কোন অক্ষর জ্ঞানহীন ব্যক্তি যদি চিকিৎসা দেয়, এর চেয়ে আর দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এতে সংসদ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটে তা বের করতে হবে। এখানে পরিচালক, ডিজিও দায়ী। অর্থাৎ হাসপাতালগুলোতে দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরই এ দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রী এই ব্যবস্থা করে সমগ্র জাতিকে জানাবেন। দায়িত্ব পালনের অবহেলার জন্য নিষ্ঠুরতার জন্য তাদের শাস্তি দিতে হবে। এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় পয়েন্ট অব অর্ডারে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, এবারে ঈদে সড়ক, রেল এবং নদীপথে বরাবরের চেয়ে অনেক বেশি রক্তাক্ত হয়েছে। পত্রিকার রিপোর্ট মতে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ ব্যক্তির। এই অযাচিত মৃত্যুর দায় কে নেবে? কায়েমী স্বার্থের কাছে আত্মসমর্পণকারী মন্ত্রীরা, অযোগ্য ও দায়িত্বহীন সরকারী কর্মকর্তা, মুনাফালোভী বাস মালিক নাকি অপেশাদার উচ্ছৃঙ্খল বেপরোয়া বাস চালকরা? নাকি সকল দোষ নাগরিকদের, যারা বছরে দু’বার মাটির টানে শিকড়ের সন্ধানে বাড়ি ফিরতে চায়।
×