ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বজ্রপাতে এক পরিবারের তিন সদস্যসহ ১৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বজ্রপাতে এক পরিবারের তিন সদস্যসহ ১৫ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন জেলায় মঙ্গলবার বজ্রপাতে এক শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ১৭ জন। মৃতদের মধ্যে সুনামগঞ্জে এক শিশু ও ৫ জেলে, টাঙ্গাইলে একই পরিবারের তিনজন, কিশোরগঞ্জে মা-ছেলে, রংপুরে দু’জন, পার্বতীপুরে এক বৃদ্ধ এবং মানিকগঞ্জে একজন কৃষক রয়েছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার পাঠানো। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রাম সংলগ্ন আতনি বিলে কাটা ফেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছে ৩ জেলে এবং আহত হয়েছে ৯ জন। অপরদিকে শাল্লা উপজেলার বেড়ামোহনা বিলে বজ্রপাতে ৩ জেলে নিহত ও আহত হয়েছে ১ শিশু। মঙ্গলবার সকালে পৃথক দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলো করিমপুর ইউনিয়নের মাটিয়াপুর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে মোঃ শামীম মিয়া (২৮), আব্দুল হাসিমের ছেলে মোঃ তহুর আলী (২৫) এবং আহতদের মধ্যে হাফিজ আলীর ছেলে মোঃ হামিদ মিয়া, সাঞ্জব আলীর ছেলে রুবেল মিয়া, রহমত আলীর ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া, আব্দুর হেকিমের ছেলে হুসেন মিয়া ও নিয়ামত আলীর ছেলে ছুরত মিয়া। একই ইউনিয়নের টুকদিরাই গ্রামের আকিদুল্লাহর পুত্র সামরান হোসেন (৮) নামের এক শিশু বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময় বজ্রপাতে মারা যায়। অপর দিকে একই সময়ে শাল্লা উপজেলার শ্রী-হাইল গ্রামের ভেড়ামোহনা হাওড়ে মাছ ধরার সময় শ্রী-হাইল গ্রামের আব্দুস ছালামের পুত্র হৃদয় মিয়া (১৮) আক্কল আলীর পুত্র ইমন মিয়া (২০) হায়দার আলীর পুত্র সাইনুল ইসলাম (২২) মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে মারা যায়। আহত শিশুকে আজমিরীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ॥ মধুপুর উপজেলায় বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছে। এতে আহত হয়েছে একজন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মধুপুর থানার পুলিশ জানায়, মধুপুর উপজেলার নবগঠিত বেরিবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর গ্রামের আদিবাসী নিখিল হাজংয়ের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে করে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই নিখিল হাজং (৪৫), তার দুই ছেলে জজ সিমসাং (১২), লুটন সিমসাং (৮) বজ্রপাতে মারা যায়। আহত হয়েছে নিখিলের স্ত্রী জনতা সিমসাং (৩৫)। কিশোরগঞ্জ ॥ করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের চরকরণশী ঘোড়াঘাট গ্রামে নিজ ঘরে বজ্রপাতে মা ললিতা বেগম (৪২) ও তার ছেলে রিমন মিয়া (১৫) মারা যায়। এ সময় পরিবারের অপর সদস্য বিউটি আক্তার (২০) গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পাটখড়ির ছাউনির বসতঘরসহ নারকেল গাছে বৃষ্টির সঙ্গে আকস্মিক বাজ পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মারুফ মিয়ার (৫০) স্ত্রী ললিতা বেগম (৪২), ছেলে রিমন মিয়া (১৫) ও মেয়ে বিউটি আক্তার (২০) তাদের বাড়িতে ছিল। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বসতঘরে বাজ পড়লে মা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা হয়। এ সময় মেয়ে বিউটি গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। রংপুর ॥ বদরগঞ্জে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু এবং ৬ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্য কমপেক্স সূত্রে জানা যায়, নিহতের নাম সন্ধ্যা রানী (৪০) ও হরিয়া নৈশে (৫০)। সন্ধ্যা রানী ট্যাক্সেরহাটের সুলভ চন্দ্রের স্ত্রী। আহতরা হলো দক্ষিণ রামনাথপুর সরদারপাড়ার বাদশাহ মিয়ার স্ত্রী আতিজা বেগম (৩৫), তোজা মিয়ার ছেলে সেকেন্দার আলী (৬৫), মাহমুদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫), মোজাফ্ফরের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৪৫), রহিম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫), হাসিনানগর এলাকার লিটনের স্ত্রী খুসব (৩৫)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। পার্বতীপুর ॥ এখানে বজ্রপাতে পিয়ারু মুসাহার (৬০) নামে এক বৃদ্ধ দিনমজুর নিহত হয়েছে। এ সময় আরও ৬ দিনমজুর আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে পার্বতীপুর-রংপুর সড়কের হাসিনা নগর এলাকায়। নিহতের বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার হাসিনা নগর মুসাহার পাড়ায়। আহতদের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে এবং ২ জনের বাড়ি হাসিনা নগরে। মানিকগঞ্জ ॥ সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের রাইল্লা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী নাজিমুদ্দিন জানান, ঐ গ্রামের মৃত নদু শেখে পুত্র মইজুদ্দিন (৬০) মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে গাভীর দুধ দোহাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনা স্থলেই তিনি মারা যান।
×