ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

গ্লোবাল টাইমসের নিবন্ধ

চীন ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক করিডরের নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধিতে বেজিং উদ্বিগ্ন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চীন ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক করিডরের নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধিতে বেজিং উদ্বিগ্ন

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সিপিইসি নির্মাণের চার হাজার ৬শ’ কোটি ডলারের প্রকল্পে নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য বাধা নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। দুই দেশের মধ্যকার এ উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের কাজ সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে না বলে স্বীকার করে এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস। খবর এশিয়া টাইমসের। এ প্রকল্প নিয়ে গ্লোবাল টাইমসের নিবন্ধে বলা হয়, জটিল আঞ্চলিক পরিবেশের মুখোমুখি হবে এ প্রকল্প। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, এ অর্থনৈতিক করিডর তৈরিতে নিয়োজিত ৭ হাজার ৩৬ চীনা নাগরিককে রক্ষায় পাকিস্তান মোতায়েন করেছে ১৪ হাজার ৫০৩ নিরাপত্তারক্ষী। এটি বিস্তৃত হবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধদিয়ে। পত্রিকাটিতে বলা হয়, চীন চাইবে না এ অঞ্চল নিয়ে বেশি দৃষ্টি দিতে। কেননা, এক ঝুড়িতে সব ডিম তোলা হবে নির্বুদ্ধিতা। নিবন্ধটিতে এ প্রকল্প নিয়ে চীনের দুশ্চিন্তার কারণই তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে ভারত-চীন সম্পর্কের মধ্যেও প্রভাব পড়বে। জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে ৪ সেপ্টেম্বর চীনের হাংঝুতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংকে। এটি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশকে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গাওয়াদার বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। নিবন্ধে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে সিপিইসিকে। চীন আপাতত সিপিইসির প্রতি সমর্থন থেকে সরে দাঁড়াবে বলে মনে হয় না। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্যকরভাবে এ প্রকল্পসমূহকে এগিয়ে নেয়া বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। অতীতে এ প্রকল্পকে জোরালো সমর্থন দিলেও গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, জটিল আঞ্চলিক পরিবেশের মতো চ্যালেঞ্জসমূহের কারণে সিপিইসিকে এগিয়ে নিতে চীন ও পাকিস্তানের চেষ্টা সহজসাধ্য হবে না। তাই দুই দেশের জনগণের উচিত সম্ভাব্য বাধার জন্য প্রস্তুতি নেয়া।
×