ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

উবাচ

কথা বলেই যাব স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালত অবমাননার মামলার রায় প্রকাশের পর গুঞ্জন উঠেছে দুই মন্ত্রীর পদে থাকা না থাকা নিয়ে। অবশ্য আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক ইতোমধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ভীত নন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যত বাধাই আসুক না কেন কথা বলেই যাব। আদালত অবমাননায় সাজার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তার পদত্যাগ চেয়ে হাইকোর্টে এক আইনজীবীর আবেদন এবং বিএনপির দাবি তোলার পরদিন মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। কামরুল বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া। এই বিচারের পক্ষে আছি, থাকব। বিচার প্রত্যাশীদের পক্ষে আমার মুখ কথা বলেই যাবে। আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, মীর কাশেম আলীকে ফাঁসি কার্যকরের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বহুত চেষ্টা করা হয়েছে। বিপুল ধনসম্পদ দিয়ে এই বিচার বানচাল করার বহু চেষ্টা করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লবিস্ট নিয়োগও করা হয়। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। দুরবিনে হরতাল স্টাফ রিপোর্টার ॥ হরতালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে পুরোজাতি। আগে সহিংসতার ভয়ে মানুষ বাইরে বের না হলেও এখন ভয় ভেঙ্গেছে। রাস্তায় এখন হরতালের দিনেও স্বাভাবিক দিনের মতোই যানজট হয়। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হচ্ছে ইদানীংকালের হরতালগুলোতে পাবলিক পরিবহনের চেয়ে রাস্তায় বেশি চলছে সাধারণ মানুষের গাড়ি। যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে আহ্বান করা হরতালের বিরুদ্ধে এটি সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। সাধারণ মানুষ ভয়কে জয় করায় হরতালকারীরা পালিয়েছে। যার ব্যাখ্যায় সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, হরতাল আহ্বানকারীদের দুরবিন ও মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি গত সপ্তহে এক সমাবেশে বলেন, পাকিস্তানের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে নাক গলিয়ে আপনারা আপনাদের সীমা লঙ্ঘন করবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেয়ায় প্রমাণ হয়েছে তারা এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের মূল পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা। পদ নাই, পথে থাকুন স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদে কোন মুক্তি নাই বরং রাজপথেই মুক্তি আছে। তাই আজকে যারা পদের পেছনে ঘুরছেন, তাদের গলার কাঁটা হয়ে যাবে একদিন এই পদই। রাজপথের রাজনীতিই নেতা সৃষ্টি করে। বিএনপির কমিটিতে পাঁচ শ’জনের অধিক নেতা থাকলেও আজকে কাজ করার জন্য কয়জন নেতা আছে?’ বিএনপির সম্প্রতি গঠিত কমিটিতে পদ পাওয়া প্রসঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই কথা বলেছেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদ নিজের অধিকারে না থাকলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য কী একই কথা বলতেন, এমন প্রশ্ন উঠেছে। পদ থাকলে পদের আর দরকার হয় না, এ কথা ঠিক। কিন্তু যে পদ পেল না তাকেই রাজপথে থাকতে হবে এ কেমন অন্যায় আচরণ! গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে কোন লাভ হবে না। কারণ এই ক্ষমতাসীনরা ১/১১ চক্রান্ত সফল করতেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে এবং তারেক রহমান যেন বাংলাদেশে না আসতে পারেন, সেই জন্যই ১/১১ কুশীলবরা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে তারেক রহমান কী গত কয়েক বছরে একবারও দেশে আসার চেষ্টা করেছেন। যে দেশেই আসতে চায় না তাকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্রের কী আছে?
×