ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিবির নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:২২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শিবির নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির ও আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশসহ সব ধরনের জঙ্গী সংগঠন সরকার নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সভাসূত্র বিষয়টি জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছে। তবে জঙ্গী সম্পৃক্ততার জন্য কতগুলো সংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে ও সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কিছু তিনি জানাননি। বৈঠকে বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রী বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেননি। সরকার ইতোমধ্যেই জঙ্গী সম্পৃক্ততার কারণে বিভিন্ন সময়ে হরকাতুল জিহাদ-হুজি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আল ইসলাম বাংলাদেশ, জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ-জেএমবি, জাগ্রত মুসলিম জনতা, শাহাদাত-ই-আল হিকমা, হিযবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ করেছে। তবে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সম্প্রতি আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক রায়ের পর্যবেক্ষণে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলাম মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল বলে উল্লে¬খ করা হয়। তবে ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে। সম্প্রতি সারাদেশে জঙ্গী তৎপরতা বাড়ার প্রেক্ষাপটে সংসদীয় কমিটির জঙ্গীবাদ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কমিটিকে বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। তারা ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ করে জঙ্গীবাদ নির্মূলে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গীবাদ দমনে সারাদেশে কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া তারা বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশেষ বাহিনী ও ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব করা হয়। বৈঠকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন যাতে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে হয়, সে বিষয়ে বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। টিপু মন্শির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শামসুল হক, মোজাম্মেল হোসেন, ওমর ফারুক চৌধুরী, ফরিদুল হক খান, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ, ফখরুল ইমাম ও কামরুন নাহার চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
×