ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে আঞ্জুমানের মাধ্যমে দাফন হবে

ঘৃণিত ১৯ জঙ্গীর লাশ এখনও হিমঘরে, স্বজনরাও নেয়নি

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঘৃণিত ১৯ জঙ্গীর লাশ এখনও হিমঘরে, স্বজনরাও নেয়নি

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ দেশবাসীর মতো জঙ্গীদের ঘৃণা করে তাদের স্বজনরাও। তাই ১৯ জঙ্গীর মরদেহ এখনও বেওয়ারিশ হিসেবে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে পড়ে রয়েছে। সব থাকতেও ওরা বেওয়ারিশ। সাধারণ মানুষকে নির্দয়ভাবে হত্যা করতে ওদের বুক কাঁপেনি। এতদিনও ওদের লাশের খোঁজও নেয়নি পরিবারের সদস্যরা। এদের কেউ যোগাযোগ না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতিতে তাদের মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। ৬৪ দিন ধরে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় কমান্ডো অভিযানে নিহত ৬ জঙ্গীর মরদেহ পড়ে আছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে। ৩৮ দিন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে নিহত ৯ ‘জঙ্গী’র লাশ ঢাকা মেডিক্যালের হিমঘরে পড়ে আছে। আর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় মাস্টারমাইন্ড জঙ্গী তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গীর মরদেহ ৯ দিন ধরে পড়ে আছে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে। আর চারদিন ধরে রূপনগরে জঙ্গী ‘মেজর’ মুরাদ ওরফে জাহিদের লাশ পড়ে আছে একই মর্গে। জঙ্গীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, মানুষ হত্যা করে ওরা (জঙ্গীরা) মারা গেছে। পেয়ে গেছে ওরা জান্নাতের টিকেট। যেখানে তাদের স্বজনরা পর্যন্ত তাদের খোঁজ নেননি। দুনিয়াতে ওরা স্বজন থেকে শুরু করে জনগণের কাছেও ঘৃণিত। ডিএমপি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ১৯ জঙ্গীর লাশ নিতে তাদের স্বজনদের কেউ আবেদন করেননি। তাই লাশগুলো এখনও বেওয়ারিশ হিসেবে সিএমএইচ ও ঢাকা মেডিক্যালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। তাদের লাশ কেউ নিতে না এলে এক সময় এসব জঙ্গী লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত ২৬ জুলাই ভোর রাতে কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় ৯ তরুণ। পরদিন পুলিশ তাদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর তাদের লাশ স্বজনরা না নেয়ায় মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে। রূপনগরে জঙ্গী মেজর মুরাদ ওরফে জাহিদ ॥ শুক্রবার রাতে মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ৩৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় ‘জঙ্গী আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান মুরাদ নিহত হন। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির, উপপরিদর্শক (এসআই) মোমিনুর ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বোখারী। পরদিন বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে জঙ্গী মুরাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, মিরপুরে মৃত মুরাদের দেহে মোট নয়টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথায় তিনটি এবং সারা শরীরে ছয়টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। বুলেটের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, তার দেহে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেলেও শরীরে কোন বুলেট পাওয়া যায়নি। সব বুলেটই শরীর ভেদ করে বের হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাকে (মুরাদ) দূর থেকে গুলি করা হয়েছে। ডাঃ সোহেল মাহমুদ আরও জানান, ডিএনএ প্রোপাইলিংয়ের জন্য নিহতের চুল, ইউরিন, থাই মাসল সংরক্ষণ করা হয়েছে। শক্তিবর্ধক কোন ওষুধ সেবন করেছিল কিনা, তা পরীক্ষার জন্য ভিসেরা ও রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। দু’সপ্তাহ পর তার ভিসেরো রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। শুক্রবার পুলিশের অভিযানে নিহত মুরাদের লাশ রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গীর মরদেহ ॥ গত ২৭ আগস্ট সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি বাড়িতে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ অভিযানে গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গী নিহত হয়। এদিকে মাস্টারমাইন্ড জঙ্গী তামিম চৌধুরীর অপর দুই সহযোগী যশোরের ফজলে রাব্বি ও রাজধানীর ধানম-ির তাওসিফ। রাব্বি যশোর সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজের পদার্থবিদ্যা (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গত ৫ এপ্রিল বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যায়। ৭ এপ্রিল জিডি করা হলেও তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাব্বী এক সময় ছাত্র শিবিরের সমর্থক ছিল। পরে যশোরে থাকতেই সে এই সংগঠন ছেড়ে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে। তার বাবা যশোর উপশহর ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী হাবিবুল্লাহ ১০-১২ বছর আগে এখানে (কিসমত নওয়াপাড়া, বিশ্বাসপাড়া) জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন। তিনি নামাজ-কালাম করতেন। মসজিদের ইমাম রাব্বীসহ কয়েকজনকে জঙ্গী বানানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেন। কিন্তু অন্যরা এড়াতে পারলেও রাব্বী প্রভাবিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে যায়। ধানম-ির তাওসিফও মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিল। ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ১৯/২ নম্বরের বাসাটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত তাওসিফ। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের ছেলে ধানম-ির চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত তাওসিফ। তবে পড়ত মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে। সে কারণে তাওসিফ মালয়েশিয়াতেই থাকত বেশিরভাগ সময়। দেশে এলে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাসাতেই থাকত। কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গী ॥ গত ২৬ জুলাই ভোররাতে পুলিশ কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়িতে অভিযান চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৯ জঙ্গী নিহত হয়। কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীর মধ্যে আটজনের পরিচয় নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট। এরা হচ্ছে, আব্দুল্লাহ বাবা-মোঃ সোহরাব আলী, মাতা- মোসাঃ মোসলেমা খাতুন, গ্রাম: ভল্লবপুর, থানা: নবাবগঞ্জ, জেলা: দিনাজপুর, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) -২৭২০৪৯০০০০৩০, জন্ম তারিখ: ১৫-০১-১৯৯৩; আবু হাকিম নাইম, বাবা- নুরুল ইসলাম, মাতা- মোসাঃ হালিমা, গ্রাম: কুয়াকাটা, থানা: কলাপাড়া, জেলা: পটুয়াখালী, এনআইডি-৭৮১১০৩০০০৩৬৯, জন্ম তারিখ- ১৫-০১-১৯৮৩; তাজ-উল-হক রাশিক, বাবা-রবিউল হক, মাতা- জাহানারা বেগম, ওয়ার্ড নং-১৫; বাসা-৭২, রোড-১১/এ ধানমণ্ডি, ঢাকা, এনআইডি-২৬১৩৫০০০০৩৯৭, জন্ম তারিখ- ০৫-১২-১৯৯১; আকিফুজ্জামান খান, বাবা-সাইফুজ্জামান খান, মাতা- শাহানাজ নাহার, বাসা# ২৫, রোড# ১০, গুলশান, ঢাকা এনআইডি-২৬১১০৬০০১০০৬, জন্ম তারিখ- ১১-০৯-১৯৯২; সাজাদ রউফ ওরফে অর্ক, বাবা- তৌহিদ রউফ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা : ৬২ পার্ক রোড, বাসা নং-৩০৪, রোড নং-১০, বক-সি, ফ্ল্যাট নং-০৯, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, থানা-ভাটারা, ডিএমপি, ঢাকা, পাসপোর্ট নং- ৪৭৬১৪৫৯৯২ (আমেরিকান নাগরিক), এনআইডি-২৬২১৮৬০০০৫৩৬, জন্ম তারিখ- ০৬-০২-১৯৯২। মোঃ মতিয়ার রহমান, বাবা-নাসির উদ্দিন সরদার, মাতা- মোসা. খাইরুন্নেসা, গ্রাম- ওমরপুর, থানা-তালা, জেলা: সাতক্ষীরা, এনআইডি-৮৭০১৮১০০০০০৩, জন্ম তারিখ- ০১-০১-১৯৯২ মোঃ জোবায়ের হোসেন (২০), বাবা-আব্দুল কাইয়ুম, মাতা-আয়েরা বেগম, গ্রাম-পশ্চিম মাইজদী আব্দুল্লাহ মেম্বারের বাড়ি, থানা-সুধারাম, জেলা: নোয়াখালী, এনআইডি-৭৫০৯৮১০০০৪৭৯, জন্ম তারিখ- ০১-০১-১৯৯৬। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সাব্বিরুল হক কনিকের স্বজনরা ছবি দেখে পুলিশকে কনিকের পরিচয় জানালেও জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে তার আঙ্গুলের ছাপ মেলেনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, নয় জঙ্গীর মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তার মরদেহ অন্য আটজনের মতো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। গুলশানের ছয় জঙ্গীর মরদেহ ॥ গত ১ জুলাই গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গী নিহত হয়েছে। এরা মরার আগে ওরা নির্মমভাব হত্যা করেছে দেশী-বিদেশী ২০ জনকে। পরে ছয় হামলাকারীর মৃতদেহ সিএমএইচে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। আর ১৭ বিদেশীসহ ২২ মরদেহ ময়নাতদন্তও করা হয়। হামলাকারী জঙ্গীরা হচ্ছে, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, সাইফুল ইসলাম চৌকিদার, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম। ২ জুলাই বিকেলে মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কোন জিজ্ঞাসা থাকলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রভোস্ট মার্শালের (০১৭৬৯০১২৫২৪) সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আইএসপিআরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। দুই মাস দু’দিনেও ছয় জঙ্গীর খোঁজে কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান। নিহত ৬ জঙ্গীর ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে ৬ জুন আদালতে আবেদন করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। একই সঙ্গে ছয় জঙ্গীর অস্থি-মজ্জা, রক্তমাখা জামাকাপড় আলামত হিসেবে জব্দ করার আবেদন করা হয়েছে। আদালত তা মঞ্জুর করে। গুলশানে ছয় জঙ্গীর ডিএনএ সংগ্রহ ॥ গত ২২ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর অভিযানে নিহতদের মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা (এফবিআইয়ের) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তা এদিন ভোরে এফবিআই প্রতিনিধির কাছে ছয়জনের নমুনা হস্তান্তর করেন। গুলশান হামলায় জড়িত পাঁঁচ জঙ্গী ও এক সন্দেহভাজনের নমুনার চুল ও রক্ত পরীক্ষার জন্য এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কল্যাণপুরে নিহত সাত জঙ্গীর স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ ॥ গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীর মধ্যে ৭ জনের স্বজনদের ডিএনএ প্রোফাইল সংগ্রহ করেছে পুলিশ। নিহতদের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে স্বজনদের ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। পরে স্বজনদের কাছে সাত জঙ্গীর লাশ হস্তান্তর করা হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত ২৬ জুলাই ভোরে কল্যাণপুরে একটি জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এই বন্দুকযুদ্ধে ৯ জঙ্গী নিহত হয়। নিহতরা হলো দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার বল্লভপুরের সোহরাব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, টাঙ্গাইলের মধুপুরের নূরুল ইসলামের ছেলে আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমণ্ডির রবিউল হকের ছেলে তাজ-উল-হক রাশিক, সাতক্ষীরার তালা থানার ওমরপুরের নাসির উদ্দিন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান, রাজধানীর গুলশানের সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান খান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ রউফের ছেলে সাজাদ রউফ অর্ক, নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাইজদী এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেন, রংপুরের পীরগাছা থানাধীন পুরশুরা এলাকার শাহজাহান কবিরের ছেলে রায়হান কবির ওরফে তারেক ওরফে ফারুক। অপর একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি। জঙ্গীদের মরদেহ নেয়ার চিঠি ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের হিমঘরে রাখা জঙ্গীদের লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষকে। ঢামেক মর্গের ভেতর এ পর্যন্ত রাখা হয়েছে ১৩ জঙ্গীর মরদেহ। এর মধ্যে ৯ জঙ্গীর মরদেহ পড়ে আছে ৪০ দিন ধরে। প্রতিদিনই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আসা মৃতদেহ সংরক্ষণে স্থান সংকুলান করা কঠিন হয়ে পড়ায় কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীর মরদেহ সরিয়ে নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীর মরদেহ ঢামেক মর্গ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগস্টের শেষ সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোন সুরাহা না হওয়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ মর্গে মরদেহ সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
×