ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দিল্লিতে শ্লীলতাহানি রুখলেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পন্নু

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ২৫ আগস্ট ২০১৬

দিল্লিতে শ্লীলতাহানি রুখলেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পন্নু

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুজিত সরকারের পরবর্তী ছবি ‘পিঙ্ক’-এ একজন ধর্ষিতার ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাপসী পন্নু। সুবিচারের আশায়, ধর্ষণ প্রমাণে নানা আপত্তিকর প্রশ্ন এবং আধুনিক দুনিয়ার আদিম কিছু সামাজিক বাধা পেরিয়ে লড়াইয়ের জন্য রুখে দাঁড়ায় সে। শুধু রিল লাইফ নয়, রিয়েল লাইফেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তাপসী যে পিছপা হন না তারই প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিক একটা ঘটনায়। দিল্লিতে শুটিং থেকে ফেরার পথে একাই এক তরুণীর শ্লীলতাহানি রুখে দিলেন নায়িকা। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর শুটিং চলছে দিল্লিতে। দিল্লির বাসিন্দা তাপসী বেশির ভাগ দিনই শুটিং শেষে কিছুটা পথ মেট্রো করে ফেরেন। দিন কয়েক আগে শুটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি দেখেন, জনাকয়েক যুবক এক তরুণীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই তরুণীকে উদ্ধার করেন তাপসী। নিজের গাড়ি করে তাঁকে বাড়িও পৌঁছে দেন। ‘পিঙ্ক’ ছবি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার উল্লেখ করতে গিয়ে তাপসী বলেন, “আমি মেট্রো থেকে বেরিয়ে আমার গাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম কয়েক জন মিলে এক তরুণীকে বিরক্ত করছে। আমি তখন ওই তরুণীকে আমার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিই। ও এক কথায় রাজি হয়ে যায়। এর পরে আমাদের উদ্দেশে কটুক্তি করতে থাকে ওই যুবকরা। আমরা দ্রুত এলাকা থেকে চলে যাই।” আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “একজন দিল্লিবাসী হিসেবে আমি বুঝতে পারছি, এ শহরে একটি মেয়ের রাস্তায় একা যাতায়াত কতটা ঝুঁকির। এই ঘটনা আমাকে ফের বুঝিয়ে দিল দিল্লি সম্পর্কে মানুষের ধারণা মোটেই অমুলক নয়।” তাপসীর এই আক্ষেপ যে মোটেই অমুলক নয় তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি প্রকাশিত দিল্লি পুলিশের একটি রিপোর্টে। নির্ভয়া কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে প্রায় চার বছর। এর মধ্যে সংশোধন আনা হয়েছে ধর্ষণ সংক্রান্ত দেশের আইনেও। কড়াকড়ি হয়েছে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। মেয়েদের সুরক্ষা দিতে বিশেষ আপতকালীন ‘হেল্প লাইন’ও চালু হয়েছে। কিন্তু এ সবই যে শুধু ‘খাতায় কলমে’ তার প্রমাণ মিলেছে দিল্লি পুলিশের এই রিপোর্টেই। এই রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লিতে গত প্রায় চার বছরে ধর্ষণ প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০১২-য় দিল্লিতে পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত ধর্ষণের অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৭০৬। ২০১৫-এ সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ২১৯৯। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধরের মতো ঘটনাও বেড়েছে তাল মিলিয়ে। ওই তরুণীর পাশে দাঁড়াতে পেরে বেজায় খুশি তাপসী পন্নু। তাঁর মতে এই রকম পরিস্থিতিতে সবারই এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×